রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
নগরবাসীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নতি সাধন আমাদের প্রধান লক্ষ্য : ডিএমপি কমিশনার শুধু লোক দেখানো পরিবর্তন নয়, সবাইকে কথা বলার সুযোগ করে দেয়াই হলো সরকারের প্রধানতম লক্ষ্য -সুপ্রদীপ চাকমা শরণখোলায় বিজয় দিবস উপলক্ষে চাঁদাবাজির অভিযোগে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন।  নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরি উল্টে চালক নিহত উপদেষ্টা হাসান আরিফ মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে গেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। খেলনা পিস্তল নিয়ে ডাকাতি চেষ্টা কেরানীগঞ্জ   রূপালী ব্যাংকে রূপালী ব্যাংকের তিন ডাকাত আত্মসমর্পণ করেছেন, পরিচয় মিলেছে পূর্বাচল লেক থেকে উদ্ধার সেই তরুণী ইয়াবা ও হেরোইনসহ সেনাবাহিনার হাতে মাদক ব্যবসায়ী আটক-২ শরণখোলা উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর পৃথক আয়োজনে বিজয় দিবস পালন।

শেরপুরে ড্রাগন চাষে রঙিন স্বপ্ন দেখছেন কৃষক আল-আমীন

মো: জুলহাস উদ্দিন হিরো,শেরপুর প্রতিনিধি।
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

শেরপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের কালাকুড়া গ্রামে, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট জয়দেবপুর- গাজীপুর থেকে উদ্ভাবিত, দেশের মাটি ও আবহাওয়ার সাথে উপযোগী, বারি-১ জাতের সাড়ে চার শত লাল ড্রাগন চারা রোপন করে রঙিন স্বপ্ন দেখছেন কৃষক আল-আমীন।

বাগানের ফল আর বিভিন্ন বয়সী চারা বিক্রি করেই তার বার্ষিক আয় থাকছে পাঁচ লাখ টাকা। ড্রাগন চাষি ও হাজী এগ্রি এন্ড নার্সারি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মোঃ আল আমিন জানান, ২০০৬ সালে বনগাঁও হাফেজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) অনার্স-মাস্টার্স পাশ করেন। ছাত্র জীবনের পাশাপাশি আল আমিন ঢাকায় নূর ট্রেড হাউস কোম্পানিতে চাকুরী করতেন। বিভিন্ন দেশ থেকে ড্রাগন সহ অন্যান্য ফল আমদানি করে সরবরাহ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীতে সেই ফল গুলোই দেশের মাটিতে উৎপাদন করতে উদ্বুদ্ধ হন তিনি ।

২০১৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট জয়দেবপুর গাজীপুর থেকে উদ্ভাবিত দেশের মাটি ও আবহাওয়ার সাথে উপযোগী বারি-১ জাতের সাড়ে ৪ শত লাল ড্রাগন চারা ১’টি প্রকল্পের মাধ্যমে দেওয়া হয় তাঁকে। ওই বছরের মে মাসে তার নিজস্ব পঁঞ্চাশ শতাংশ জমিতে ড্রাগন ফলের চারাগুলো রোপণ করেন।

সঠিক নিয়মে বাগানের আগাছা কর্তন আর বাগান পরিচর্যার মধ্যদিয়ে, ৯ মাস পর থেকে ওই বাগানে প্রচুর পরিমাণ ফল আসতে শুরু করে। পাশাপাশি প্রত্যেক গাছের গোড়ায় নতুন চারা গজায়।

এদিকে, তিনি ড্রাগন ফলের পাশাপাশি মাল্টা ৪০ শতাংশ, পেয়ারা ২৫ শতাংশ, সিডলেস লেবু ৫০ শতাংশ সহ মোট ১ একর পয়শট্টি শতাংশ জমিতে গড়ে তুলেন বাগান। নাম রাখা হয় ”হাজী এগ্রি এন্ড নার্সারি”।

আল আমিনের এই ব্যাবসায় তিনি একাই লাভবান হননি বরং এখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে স্থানীয় আরও বেশ কিছু পরিবারের।

কদমতলী বাজার সংলগ্ন কালাকুড়া
”হাজী এগ্রি এন্ড নার্সারি” থেকে বারি ওয়ান লাল ড্রাগন ফল, বারি ওয়ান মাল্টা, বারি ফোর সিডলেস পেয়ারা, ও সিডলেস লেবু সরবরাহ হয়।

হাজী এগ্রি এন্ড নার্সারি এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার পর থেকে তাকে আর কখনোই পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।
সব মিলিয়ে তার বার্ষিক আয় থাকছে প্রায় ৫ লাখ টাকা।

 

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..