শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়নি বরং আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করার জন্য অস্ত্র তুলে দেয়া হয়েছে। আগামী প্রজন্মকে রক্ষার জন্য এ পাঠ্যক্রম বাংলাদেশে পড়তে দেয়া উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলা সভাপতি মুহাম্মদ ইমাম হোসেন ।
আজ ২৬ জানুয়ারি ২৩ রোজ বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টায়, বাউফল উপজেলা পরিষদ গেইট এর সামনে শিক্ষাক্রম’২৩ সংস্কার, বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল ও পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসালামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বাউফল থানা শাখার সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আবু সালেহ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ হাদীর সঞ্চলনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ ইমাম হোসেন আরো বলেন শিক্ষকরা হচ্ছে জাতির বিবেক। কিন্তু শিক্ষাক্রম প্রণয়নে জাতির বিবেকরা যখন চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নেয় তখন তা জাতির জন্য লজ্জার। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বকীয়তা নষ্ট করতে এবং আগামীর প্রজন্মকে নৈতিকতা বিবর্জিত জাতিতে পরিনত করার গভীর ষড়যন্ত্র নিয়ে শিক্ষা সিলেবাসে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। দেশীয় বোধ-বিশ্বাস বিরোধী সেক্যুলার শিক্ষাক্রম দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থী অভিভাবক বুদ্ধিজীবী সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল ও পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্ত পূর্বক শাস্তি দিতে হবে।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ- এর বাউফল উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা নজরুল ইসলাম , পটুয়াখালী জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ হাসান আলী,সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ , প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মদ আল ইমরান , দাওয়াহ সম্পাদক মুহাম্মদ আবুল হোসেন, তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ রুহুল আমিন, প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক তসলিম ইসলাম, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ মাসুম বিল্লাহ, আলিয়া মাদ্রাসা সম্পাদক মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম, কলেজ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম, স্কুল সম্পাদক মুহাম্মদ শরিয়াতুল্লাহ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুহাম্মদ তারেক রহমান, ও কার্যনির্বাহি সদস্য মুহাম্মদ রিয়াজুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন শাখার নেতৃবৃন্দ।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..