গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাবা ও ছেলের উপর হামলা প্রতিপক্ষের লোকজন। আহত ব্যক্তিরা গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ব্যাপারে গত ১২ সেপ্টেম্বর সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের হওয়ার পর মামলা হয়েছে।
থানার এজাহার সুত্রে জানা গেছে বাদী মোঃ শরিফুল ইসলাম ছামু একজন দলিল লেখক। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধুপনী বাজারে একটি তার নিজস্ব বসার ঘর রয়েছে। যেখানে তিনি ওই এলাকার জমি ক্রেতা- বিক্রেতাদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এদিকে ১ নং বিবাদী পশ্চিম কঞ্চিবাড়ী এলাকার আতাউর রহমান সরকারের পুত্র মোঃ জুয়েল মিয়া (৩২) একজন দালাল প্রকৃতির লোক। সে এলাকার লোকজনের নিকট হইতে অধিক টাকার বিনিময়ে জমি রেজিষ্ট্রী করে দিতে চায়। পরবর্তীতে এলাকার উক্ত লোকজন বাদীর নিকট আসলে তাদের সল্প খরচে জমি রেজিষ্ট্রী করে দেয় বাদী মোঃ ছামু মিয়া। এঘটনায় বিবাদীসহ
অন্যান্য বিবাদীগণ ক্ষীপ্ত হয়ে বাদীকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শনসহ মারপিট করার সুযোগ সন্ধান করে থাকে। এমতাবস্থায় গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত্রী অনুমান ৮.০৫ ঘটিকার সময় বাদীর পিতা মোঃ আব্দুস সাত্তার মিয়া বাড়ী হতে মটর সাইকেল যোগে ধুপনীতে উদ্দেশ্যে রওনা করে। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধুবনী হাজির মোড়ে পাঁকা রাস্তার উপর পৌছা মাত্রই বিবাদীগণ পরিকল্পিতভাবে হাতে লোহার রড, ধারালো ছোরা নিয়ে আব্দস সাত্তার মিয়াকে অন্যায়ভাবে মটর সাইকেল এর গতিরোধ করে বিভিন্ন প্রকার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এতে তিনি বিবাদীদেরকে গালিগালাজ না করার জন্য অনুরোধ করিলে ১নং বিবাদীর হুকুমে সকল আসামীগণ বাদীর পিতাকে এলোপাতারীভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিলা, ফুলা বেদনাযুক্ত জখম করে। মারপিটের একপর্যায়ে ২নং বিবাদী মোঃ জাকিউল ইসলাম এর হাতে ধারালো ছোরা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আব্দুস সাত্তার মিয়ার মাথার সামনে ডান পার্শ্বে স্বজোরে চোট মেরে গুরুতর রক্তাক্ত হাড় কাটা জখম করে। ১নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা বাদীর পিতার ডান হাতের কুনাইয়ে স্বজোরে ডাং মেরে হাড় ভাঙ্গা জখম করে। এতে বাদীর পিতা গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে ৩নং আসামী মোঃ জনি মিয়া আহত ব্যক্তির বুকে উপর বসে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে। তখন বাদী দৌড়ে এসে ৩নং আসামীকে ধাক্কা মারপ তার পিতার বুকের উপর হতে সরাইয়ে দিয়ে তাকে রক্ষা করে। তখন উপরোক্ত আসামীগণ বাদীকেও এলোপাতারীভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিলা, ফুলা বেদনাযুক্ত জখম করে।
পরে বাদীর পিতাকে উচ্চ চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
এব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।