সাতক্ষীরায় পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির অভিযোগে দলনেতা শরীফ হাসানুল বান্নাসহ ৬ ব্যক্তিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার ভোররাতে শরীফ বান্নাকে সদর উপজেলার মাগুরা বৌ-বাজার
এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে জব্দ করা হয় বিদেশি পিস্তল,গুলি,হ্যান্ডক্যাপসহ ডাকাতি করার অন্যন্য সামগ্রী। এর আগে অপর ৫ ডাকাতকে শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা এলাকা থেকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, সদর উপজেলার নারানজোল এলাকার শরীফ হাসানুল বান্না ওরফে সুমন,কাশেমপুর গ্রামের সাব্বির হোসেন,পাথরঘাটা গ্রামের হাফিজুর রহমান,গোবিন্দকাটি গ্রামের জাহিদ হোসেন ও
আকরামুল মোড়ল ও কালিগঞ্জ থানার সোনাতলা এলাকার রাশিদুল ইসলাম। সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সাতক্ষীরা পৌরসভার মধুমোল্লারডাঙ্গী এলাকার গরু ব্যবসায়ী শেখ আনোয়ারুল ইসলাম ও তার ছেলে রিফাত হোসেন গরু বিক্রির ২লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের ওয়ারিয়া পূজা মন্ডপের
সামনে আসলে তাদেরকে গতিরোধ করে পুলিশ পরিচয়ে একদল ডাকাত। মাদকদ্রব্য থাকার মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাদেরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে টাকা কেড়ে নেয় ডাকাতরা। ঝাউডাঙ্গা বাজার পার হয়ে বাবা শেখ
আনোয়ারুল ইসলাম ও তার ছেলে রিফাত হোসেনকে মাইক্রোবাস থেকে তাদেরকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকালে তাদের চিৎকারে স্থানীয়দের সহায়তায় ৫ ডাকাতকে আটক করে পুলিশ। তবে পালিয়ে যায় দলনেতা শরীফ হাসানুল বান্না। এঘটনায় ভুক্তভোগী শেখ আনোয়ারুল ইসলাম
বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন। যার নং-৫০। এদিকে দলনেতা শরীফ হাসানুল বান্নাকে সোমবার ভোরে সদর উপজেলার মাগুরা বৌ-বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা
হয়। ডাকাতদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় পুলিশের পোশাক,পরিচয়পত্র,বিদেশি পিস্তল,গুলি,হ্যান্ডক্যাপসহ ডাকাতি করার কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সামগ্রী। গ্রেপ্তারকৃতরা আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে
জানান পুলিশ সুপার।