বৃহস্পতিবার (২৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. বিল্লাল হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দেশে অনুমোদিত ও আবেদনকৃত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। যেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেনি, সেগুলো অবৈধ। বুধবার এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অবৈধ সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে হবে। তবে এর জন্য এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো আদেশ দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (২৫মে) পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ), সিভিল সার্জন (সকল) ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সমূহ বন্ধ করতে হবে। অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সমূহের বিরুদ্ধে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।
যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন গ্রহণ করেছেন কিন্তু নবায়ন করেননি তাদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য একটি সময়সীমা দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নবায়ন গ্রহণ না করলে সে সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে অপারেশন করার সময় এনেস্থিসিয়া দেওয়া এবং ওটি এসিস্ট করার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত ডাক্তার ছাড়া অন্যদের রাখা হলে ওই সকল প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং যে সব প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছেন তাদের লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। লাইসেন্স প্রাপ্তির আগে এ সকল প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাতে পারবে না।