বুধবার (২৫ মে) সকালে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৪ মে) রাত ২টার দিকে পৌর এলাকার চক্ষু হাসপাতালের পেছনে ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামে টুলু মিয়ার ছেলে ফজলে রাব্বি ওরফে সোলাইমান (২৪)। তিনি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
নিহতের বাবা টুলু মিয়া জানান, আমি চাকরির সুবাদে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার চক্ষু হাসপাতালের পিছনে ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। আমার তিন ছেলের মধ্যে ফজলে রাব্বি সবার ছোট। মঙ্গলবার (২৪ মে) রাত ২টার দিকে অজ্ঞাতনামা এক নারী আমাদের ফোন দেয়। ফজলে রাব্বি ফাঁস দিয়েছে বলে তার ঘরে যেতে বলে ওই নারী। এ সময় আমরা গিয়ে দেখি তার ঘরের দরজা বন্ধ। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর জানতে পারি প্রেমিকার সঙ্গে ভিডিও কলে ছিল রাব্বি। এ সময় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ভিডিও কল চালু রেখেই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে রাব্বি।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহরাব হোসেন বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ওই যুবহের মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তবে এখনও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।