নীলফামারী জেলাধীন ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ চলে গেলেই গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। অতি জরুরী প্রয়োজনে কথা তো দূরে থাক মোবাইলের স্ক্রিনে ইমার্জেন্সি কল উঠে থাকে। এতে জরুরি প্রয়োজনে যে কারো সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেক সময় গ্রামীণফোনের গ্রাহক কে কল ড্রপিংয়ে পড়তে হয় আর এতে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হন গ্রাহকরা।
দীর্ঘ দিনধরে এই সমস্যার সৃষ্টি হলেও পদক্ষেপ নেননি গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রামীণফোন অথবা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহক। অনেক সরকারি দপ্তর ছাড়াও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল হওয়া বন্ধ হয়ে গেছে সব কার্যক্রম। এতে বিদেশগামী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রীসহ, জন্মসনদ নিবন্ধনের মত জরুরী সেবা গ্রহীতা চরম বিপাকে পড়েছে।
শুটিবাড়ী বাজারের এইচ এস ক্যাবল নেটওয়ার্ক বিশ্বদেব রায় জানান, আমরা ইন্টারনেট ও ডিস লাইন সাপ্লাই করে থাকি গ্রাহকদের সাথে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করতে হয় কিন্তু বিদ্যুৎ যাওয়ার সাথে সাথেই নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে এলাকা। এতে মানুষের অনেক কথা শুনতে হয় আর ভোগান্তিতে পড়ে গ্রাহক।
গ্রামবিকাশ কেন্দ্র ও ইএসডিও নামের দুই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক জানান, আমাদের প্রতিদিনের লেনদেনের আপডেট প্রতিদিন দিতে হয় হেড অফিসে। আমরা মাসের প্রথম সপ্তাহে গ্রামীণফোনের ডাটা ক্রয় করে থাকি। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে গ্রামীনফোন গ্রাহক সেবা দিতে পারছেনা। অফিস থেকে দেওয়া সিমটি ছাড়া অন্য কোন কিছু দিয়ে আমাদের ইন্টারনাল সাইট ব্যবহার করা যায় না।
শুটিবাড়ী বাজারের রিটেলার রুবেল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে এমন সমস্যা হচ্ছে। প্রতিকারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি যথাযথ কর্তৃপক্ষ।
নাম নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামীণফোনের একজন মাঠকর্মী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সমাধান হয়নি আজও।
গ্রামীণফোনের নীলফামারী এরিয়া ম্যানেজার মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান আমাদের কারিগরি কিছু সমস্যা রয়েছে। সমস্যা সমাধানে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হয়ে হবে।