রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভারে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মাইশা মমতাজ মিম স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময়ে একটি কাভার্ডভ্যান তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে এসেছে। একই ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সাদা রঙের স্কুটি চালাচ্ছিলেন মাইশা মমতাজ মিম। ফ্লাইওভারে মোড় ঘুরতে গিয়ে হঠাৎ করেই সড়কে কাঁত হয়ে পড়ে যান তিনি। তার পেছন থেকে আসা কাভার্ডভ্যান মুহুর্তের মধ্যেই তাকে চাপা দেয়। এরপর কাভার্ডভ্যানে থাকা চালকের সহকারী পেছনে তাকিয়ে দেখন ওই ছাত্রী মারা গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে তারা কাভার্ডভ্যানটি চালিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
এমন ভয়ংকর সড়ক দূর্ঘটনার পর কাভার্ডভ্যানটির চালক ও তার সহকারীকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপি’র ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শুক্রবার দিনগত রাতে চট্টগ্রাম থেকে কাভার্ড ভ্যানের চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত চালকের নাম সাইদুল। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। চালকের সহকারীর নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তাদের ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
শুক্রবার উত্তরার বাসা থেকে ক্লাস করতে স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময় খিলক্ষেত উড়ালসড়কে দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুন্সি সাব্বির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা একটি সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছি। সেটা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ফুটেজে একটি কাভার্ডভ্যান দেখতে পেয়েছি। ওটার চাপায় মিমের মৃত্যু হয়েছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকালে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ‘একটি মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফ্লাইওভারের ৩০০ ফিটের দিকে নামার পথে পড়ে আছেন বলে জানানো হয়।’ এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে কাছাকাছি একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার রাতে জানাজা শেষে বাড়ির পাশে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়