বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর হামলা, আহত ২০ রায়পুরে মেয়রের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে মধুখালীতে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে মহাসড়ক অবরোধ খুলনায় বৃষ্টির জন্য  খোলা আকাশের নিচে নামাজ আদায় বাগেরহাটে গভীর রাতে আগুনে লেগে ৬টি দোকান পুড়ে ছাই।, লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জনসহ ১৩ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা  চবি প্রশাসনে বিশাল পরিবর্তন। নড়াইলে মসজিদ ইমামের স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, ভাড়াটিয়া পলাতক লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭জনসহ ১৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল 

স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১

কিশোরগঞ্জ ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা।

কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া শ্যামলী রোডস্থ জামিয়াতুস সুন্নাহ’র এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক ছাত্র (১০) কে বার বার বলাৎকারের অভিযোগে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

রোববার (২৯ আগস্ট) দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রের পিতা মো. টিপু সুলতান। তিনি নগুয়া শেষ মোড় এলাকার বাসিন্দা ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তা।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মামলার বাদী বিগত ৫ বছর আগে নগুয়া শ্যামলী রোডস্থ নাঈম কটেজ নামের তিন তলা একটি বিল্ডিংয়ে অবস্থিত জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় তার ছেলেকে কোরান হেফজ করার জন্য ভর্তি করান। সেখানে পড়াশোনা করা অবস্থায় ছাত্রের উস্তাদ।

গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রকে মাদ্রসার তিন তলার বাথরুমে ডেকে নিয়ে জোর করে ভয় দেখিয়ে তার পাজামা খুলে তার সাথে পায়ূপথে যৌন সংগম করেন। এভাবে ছাত্রটির সাথে ঐ শিক্ষক বার বার এমন করতে থাকলে ছাত্রটি তার বাবাকে সব ঘটনা খুলে বলে। সে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার বাবাকে বলে, ‘উনি বারবার আমার সাথে এমন করেন। আমি খুব ব্যাথা ও কষ্ট পাই।’

এসব শুনে ছাত্রের পিতা লোকজন নিয়ে মাদ্রাসার পরিচালকের কাছে সব খুলে বলেন। তখন পরিচালক অভিযুক্ত শিক্ষককে ডেকে এনে ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে ওই শিক্ষক এক পর্যায়ে সকলের সামনে দোষ স্বীকার করেন।

তখন ছাত্রের পিতা অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে পরিচালকের জিম্মায় রেখে কিছুক্ষণের জন্য লোকজন নিয়ে বাসায় চলে যান। পরে তারা আবার ফিরে এসে দেখেন অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে গেছেন। পরে ওই মাদ্রাসার পরিচালককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে পালিয়ে যেতে দিয়েছেন বলে জানান।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক পিপিএম জানিয়েছেন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..