সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
লোহাগড়ায় গরীব বর্গাচাষীর স্বপ্ন ভেঙে দিল দূর্বৃত্তরা নড়াইলে মোটরসাইকেল ও ট্রলির সংঘর্ষে প্রাণ গেল যুবকের লোহাগড়ায় গান শোনার জন্য মোবাইল ফোন না দেওয়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা মধ্যনগরে চোরাপথে ভারতীয় পণ্যের ঢল: সরকারের শুল্ক হারাচ্ছে,কোটি কোটি টাকা। ড.ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক। অনুষ্ঠানে বিশাল শোডাউন :নাসির আহমেদ শাহীন এর নেতৃত্বে লন্ডনে তারেক রহমান ওড. ইউনুসের দেড় ঘণ্টার বৈঠক: নির্বাচনী কৌশল ও আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে আলোচনা দ্বিগুণের বেশি ভাড়া আদায়, দুই সিএনজি চালকের জেল-জরিমানা গলাচিপায় বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত: ১৪৪ ধারা জারি পটুয়াখালীর মহিপুরে ৩ টি অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে জায়গা জমি বিরোধের জের ধরে হামলায় এক মহিলা আহত

স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১

কিশোরগঞ্জ ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা।

কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া শ্যামলী রোডস্থ জামিয়াতুস সুন্নাহ’র এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক ছাত্র (১০) কে বার বার বলাৎকারের অভিযোগে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

রোববার (২৯ আগস্ট) দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রের পিতা মো. টিপু সুলতান। তিনি নগুয়া শেষ মোড় এলাকার বাসিন্দা ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তা।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মামলার বাদী বিগত ৫ বছর আগে নগুয়া শ্যামলী রোডস্থ নাঈম কটেজ নামের তিন তলা একটি বিল্ডিংয়ে অবস্থিত জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় তার ছেলেকে কোরান হেফজ করার জন্য ভর্তি করান। সেখানে পড়াশোনা করা অবস্থায় ছাত্রের উস্তাদ।

গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রকে মাদ্রসার তিন তলার বাথরুমে ডেকে নিয়ে জোর করে ভয় দেখিয়ে তার পাজামা খুলে তার সাথে পায়ূপথে যৌন সংগম করেন। এভাবে ছাত্রটির সাথে ঐ শিক্ষক বার বার এমন করতে থাকলে ছাত্রটি তার বাবাকে সব ঘটনা খুলে বলে। সে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার বাবাকে বলে, ‘উনি বারবার আমার সাথে এমন করেন। আমি খুব ব্যাথা ও কষ্ট পাই।’

এসব শুনে ছাত্রের পিতা লোকজন নিয়ে মাদ্রাসার পরিচালকের কাছে সব খুলে বলেন। তখন পরিচালক অভিযুক্ত শিক্ষককে ডেকে এনে ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে ওই শিক্ষক এক পর্যায়ে সকলের সামনে দোষ স্বীকার করেন।

তখন ছাত্রের পিতা অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে পরিচালকের জিম্মায় রেখে কিছুক্ষণের জন্য লোকজন নিয়ে বাসায় চলে যান। পরে তারা আবার ফিরে এসে দেখেন অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে গেছেন। পরে ওই মাদ্রাসার পরিচালককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে পালিয়ে যেতে দিয়েছেন বলে জানান।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক পিপিএম জানিয়েছেন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..