যে সকল রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে ক্রমাগত এগিয়ে চলছে তাদের বিরুদ্ধে সু-কৌশলে বিভিন্ন
তকমা লাগিয়ে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বা যে সকল সরকার প্রধান অভিন্ন লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে নিজেদের অভ্যান্তরীন
শক্তি নিয়ে শক্ত অবস্থান তৈরির চেষ্টা করছে তাদেরকে টার্গেট করা হচ্ছে।
তালিকায় অন্যান্যদের মধ্যে আছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ
এর্দোয়ান, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ফিলিপাইন্সের প্রেসিডেন্ট রদরিগো দুতার্তে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ,
ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন,
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, মিয়ানমারের
মিন অং লায়িং, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের ও আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও এই
তালিকায় আছে ।
মুসলিম বিশ্বের পক্ষে কিছুটা হলেও কথা বার্তা আদান প্রদান করে তুরস্ক -ইরান- সৌদি-আরব তাদেরকে অবদমিনিত
করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ল্যাটিন আমেরিকার অর্থনৈতিক সম্ভাবনার অপর দেশ ব্রাজিল তার সমৃদ্ধির কথা নতুন ভাবে বিশ্বকে জানান দিচ্ছে
তাকেও শিকল বন্দি করার চেষ্টা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়া তো কখনো পশ্চিমা বিশ্বকে বিশেষ করে আমেরিকাকে তোয়াজ করেনা
সেক্ষেত্রে গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ভাবে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা পরিলক্ষিত।
অপরদিকে ইসরাইল কিছু দিন আগে ফিলিস্তিন রাষ্টের মধ্যে আর্ন্তজার্তিক গনমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ১৫ মিনিটের
নোটিশে বোমা দিয়ে ধংস করে এক্ষেত্রে বিশ্ব নিরব কারণ ফিলিস্তিন একটি মুসলিম রাষ্ট্র ওখানে যতই ধংসযোগ্য চালাও বা
মানবধিকার লঙ্ঘন কর তাতে পশ্চিমাদের টু-শব্দ নাই। এইখানে প্রেস ফ্রিডম প্রিডেটর্স বা গণমাধ্যম স্বাধীনতা শিকারীদের
তালিকা হয় না।
আমরা দেখতে পাচ্ছি আগামীদিনের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে চীনের সাথে মায়ানমার-পাকিস্তান, রাশিয়ার সাথে তুরস্ক-
ইরান, ভারত-বাংলাদেশ একযোগে নিজ-নিজ অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করে সফল হচ্ছে তাদের এই অগ্রগতি
সমৃদ্ধিকে বিভিন্ন তকমা লাগিয়ে শক্তিশালি অবস্থানকে বিচ্ছিন্ন করার অপপ্রয়াস।
তালিকায় দুই নারী নেত্রীর নাম রয়েছে। এদের একজন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি ২০০৯ সাল
থেকে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে আসছে।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে বর্তমান সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করে, যার আওতায় ৭০ জনের বেশি
সাংবাদিক ও বøগারকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এখন প্রশ্ন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে ৭০ জন সাংবাদিক ও বøগারকে
আইনের আওতায় আনা হয়েছে প্রকৃতপক্ষে কয়জন এই আইনের অপপ্রয়োগের শিকার হয়েছে? যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এই
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শিকারীর তালিকায় অন্তভুক্তি করা হয়েছে। আমরা অন্যান্য দেশের অবস্থা বিবেচনায় র্নিদিধায় বলতে
পারি আমাদের দেশের সাধারন নাগরিক হতে গণমাধ্যম কর্মী, সুশীল সামাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম
সহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে তাদের নিজস্ব মতামত স্বাধীন ভাবে তুলে ধরছে এইখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে
আরএসএফ” প্রেস ফ্রিডম প্রিডেটর্স বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শিকারি’তালিকায় ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসুত, মনগড়া ও মিথ্যা
অন্তভুক্তির তীর্ব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ MDGS Goals
নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে এবং SDGS Goals-2030 লক্ষ্য মাত্রাকে সামনে রেখে দূর্বার গতিতে
উন্নত বাংলাদেশ বির্নিমানে এগিয়ে চলছে।
লেখক
এস এম আশরাফুল আলম
ইন্সপেক্টর, ডিবি, কুষ্টিয়া।