বেশ কয়েক সাপ্তাহ থেকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় আবেদনকারীদের নিয়ে ঝড় উঠেছে ,কারন তাদের অপরাধমুলক কর্মকান্ড থেকে শুরু করে অবৈধ কাজ করা,জনসংখ্যা বৃদ্ধি ,সুযোগ সুবিধা না পাওয়া নিয়ে অতিষ্ঠ জনগণ। যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে একদিকে ভিসার মেয়াদ ফুরোনো শিক্ষার্থীদের আশ্রয় আবেদন, অন্যদিকে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে ছোট নৌকায় করে আসা হাজারো মানুষ। উভয় ক্ষেত্রেই এবার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ব্রিটিশ সরকার।
হোম অফিস সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারকে মোবাইল বার্তা ও ইমেইলের মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে। বার্তায় বলা হয়—ভিসার মেয়াদ শেষ হলে বৈধ থাকার অধিকার ছাড়া যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা যাবে না। যুক্তিহীন আশ্রয় আবেদন দ্রুত খারিজ হবে এবং নির্ধারিত সময়ে দেশ না ছাড়লে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার জানিয়েছেন, প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আশ্রয় আবেদন করে, যার অধিকাংশই অগ্রহণযোগ্য।
অন্যদিকে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসেই প্রায় ২০ হাজার মানুষ ছোট নৌকা পেরিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে—যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। ২০১৮ থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১ লাখ ৬৮ হাজার মানুষ এভাবে দেশটিতে এসেছে, যাদের ৯৫ শতাংশ আশ্রয়ের আবেদন করেছে।তার মধ্যে বেশিরভাগ ভিসার মেয়াদ শেষ বা শেষ হবে ,তাদের আশ্রয়ের কারনের মধ্যে অন্যতম ;রাজনৈতিক ,ধর্মীয়,এলজিবিটি সহ অন্যান্য জীবন হুমকির কারন।
চাপ সামলাতে লেবার সরকার নতুন নীতি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘ওয়ান-ইন, ওয়ান-আউট’ পরিকল্পনা—অর্থাৎ নৌকায় আসা একদলকে ফেরত পাঠালে সমানসংখ্যক বৈধ অভিবাসী ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে আনা হবে। এছাড়া আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য হোটেল ব্যবহার বন্ধ করে ওয়্যারহাউস ও অস্থায়ী মডুলার আবাসনের পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।
তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, হঠাৎ কড়াকড়ি চাপালে বিপরীত ফল হতে পারে। ব্রিটিশ রেড ক্রস সতর্ক করেছে—পরিবার পুনর্মিলনের সুযোগ বন্ধ হলে শিশু ও নারী শরণার্থীরা পাচারকারীদের কাছে ঝুঁকতে বাধ্য হবে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রাড আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এতে উইন্ডরাশ কেলেঙ্কারির মতো ভুলের পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, আশ্রয়প্রার্থীদের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে এই পদক্ষেপগুলো সরকারের কঠোর অবস্থানকে স্পষ্ট করছে। তবে রাজনৈতিক ও মানবিক—দুই দিক থেকেই এটি একটি বড় পরীক্ষা হতে চলেছে।যুক্তরাজ্যে অতিরিক্ত অভিবাসী হওয়ায় সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা হারাচ্ছে যুক্তরাজ্য যেমন ; চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক লম্বা লিস্ট অপেক্ষা দীর্ঘ,কাউন্সিল ট্যাক্স বেড়ে যাওয়া ,ল্যান্ড স্পেস না থাকা ,হোটেল খরচ,সাপ্তাহিক খরচ হোম অফিসের বহন করা এসাইলাম আবেদনকারীর এসব মিলিয়ে নানা জটিলতা এদিকে দুই হাজারের বেশি এসাইলাম আবেদনকারী জড়িয়েছেন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে যা যুক্তরাজ্যের স্বাভাবিক পরিস্থিতি হুমকির মুখে।সামনে এসব কঠোর করা হবে বলে এমনটি প্রত্যাশা।