শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সাতক্ষীরা কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা। চবিতে চলছে হল সিলগালা। নড়াইলে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু  নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৭   সিংড়ায় মাসব্যাপী চলনবিল বৃক্ষরোপণ উৎসবে বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ পুরাতন সাতক্ষীরায় জমিজমা বিরোধে ৪জনকে পিটিয়ে আহত কোটা সংস্কারের দাবিতে বঙ্গভবনের স্মারকলিপি দিলেন শিক্ষার্থীরা যারা না জেনে সমালোচনা করেন, তারা মানসিক রোগী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু গৃহকর্মীকে  নির্যাতনের ঘটনায় দম্পতি গ্রেফতার। সাভারে চুরির অপবাদ দিয়ে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক দুই

চেয়ারম্যানের ফাঁদে পড়া সেই কিশোরী প্রেমিককে বিয়ে করলেন

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১

পটুয়াখালীর বাউফলের সেই কিশোরী (১৪) বিয়ের এক দিন পরই চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। তালাকের পরের দিনই প্রেমিক রমজানকে বিয়ে করে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে ঐ কিশোরী। গত রবিবার রমজানের মামাবাড়িতে সেই আগের কাজী ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়ান। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারকে (৬০) তালাক দেয় কিশোরীটি। জানা যায়, বর্তমানে কুম্ভখালী গ্রামের মামাশ্বশুর বাড়িতেই অবস্থান করছে মেয়েটি। চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কনকদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। শাহীন হাওলাদারের এ বিবাহকাণ্ডে উপজেলা আওয়ামী লীগ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, শাহীন হাওলাদারের কার্যকলাপে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিব্রত। আমি নিজেও বিব্রত । তালাক দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বিচারপ্রার্থী কিশোরীকে বিয়ে করে চেয়ারম্যান বিপাকে পড়েছেন। সামাজিক ও পারিবারিক চাপসহ আইনি জটিলতা এড়াতে চেয়ারম্যান কৌশলে কিশোরীর কাছ থেকে তালাকনামা রেখেছেন। অবশ্য ঐ কিশোরী বলেছেন, রবিবার তার প্রেমিক রমজানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। এখন তিনি শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে ঐ বিবাহকাণ্ডে শাহীন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহের অভিযোগ প্রশ্নে আইনের অপপ্রয়োগ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মে মাসে কনকদিয়া ইউনিয়নের চুনারপুল এলাকার ঐ কিশোরীর সঙ্গে নাজিরপুর ইউনিয়নের তাতেরকাঠি গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী সোহেলের বিয়ে হয়। ঐ বিয়েতে সম্মতি ছিল না মেয়েটির। তাছাড়া মেয়েটির সঙ্গে তার গৃহশিক্ষক রমজানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন সোহেল, কিশোরী ও রমজানের পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। গত শুক্রবার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে মীমাংসার জন্য যান উভয় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে সোহেল ও কিশোরীর বিয়ে বিচ্ছেদ করান চেয়ারম্যান। সালিশ বৈঠকে বসে কিশোরী তার প্রেমিক রমজানের সঙ্গে সংসার করতে চায়। এ সময় চেয়ারম্যান কিশোরীকে দেখে পছন্দ করেন। পরে কিশোরীর সম্মতি নিয়ে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর কাজী ডেকে চেয়ারম্যান বিয়ের কাজ সম্পন্ন।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..