শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে বের হয়ে নতুন সংগঠনের ঘোষণা

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে বেরিয়ে নতুন ছাত্রসংগঠন গঠন করতে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। “স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট” স্লোগানকে ধারণ করে হবে এই সংগঠন। তবে নতুন ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্বে কারা আসবে এবং কবে নাগাদ সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করবে তা জানানো হয়নি।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আবু বাকের মজুমদার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের এবং আবু বাকের মজুমদার।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, “আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বাম ছাত্র সংগঠনসহ একাধিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসে যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু আন্দোলন পরবর্তী সময়ে সবাই তাদের নিজস্ব সংগঠনে ফিরে গেছেন। কিন্তু এর বাইরে একটা বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী এসেছিল, যারা কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাদের তো এখন কোনো যাওয়ার জায়গা নেই। সেই দিকটা বিবেচনা করেই আমরা একটা ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাজন হয়নি বা এখানে অনুমতি নেওয়ার তেমন কিছু নেই।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, “আমাদের এই ছাত্র সংগঠন একটি আলাদা উদ্যোগ। বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী ছাত্র রাজনীতি নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করবে, নতুন ছাত্র সংগঠন গড়ে তুলবে বলে আমরা আশা করি। এটা তেমনই একটি উদ্যোগ। এর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি নির্দিষ্ট অরগানোগ্রাম আছে। সেখানে আহ্বায়ক, সদস্য সচিবরা তাদের মতো করে পরিচালনা করবেন। তারা তাদের মতো করে চলবেন। এটি একটি সতন্ত্র উদ্যোগ, এখানে নিজস্ব গঠনতন্ত্র এবং যে পলিসি, সে অনুযায়ী বাস্তবায়িত হবে।”

আবু বাকের মজুমদার বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদল, ছাত্র শিবির, ছাত্র শক্তি, বাম ছাত্র সংগঠনসহ আরও ইসলামিক ছাত্র সংগঠনের ছাত্ররা ছিল। কিন্তু আমরা মনে করছি জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আন্দোলনের যে অঙ্গীকার ফ্যাসিবাদী সিস্টেমের সম্পূর্ণ বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দবস্ত, এই দুটি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে। একই সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ যারা একই মতাদর্শের, যারা জুলাই অভ্যুত্থান থেকে আরও বেশি সফিস্টিকেটিভভাবে ভিশনারি পলিটিক্স করতে চায়, তারা এই নতুন ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগ নিয়েছে।

তারা বলেন, নতুন ছাত্রসংগঠন গঠনের লক্ষে আজ ও আগামীকাল মঙ্গলবার সারাদেশে শিক্ষার্থীদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে জনমত জরিপ ও সদস্য সংগ্রহ করা হবে। অনলাইন ও অফলাইনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, জাবি, জবি, রাবি, চবিসহ দেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সম্ভাব্য সব কলেজ, স্কুল ও মাদরাসায় এই প্রচারণা চালানো হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..