শরণখোলায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য রেলি ও আলোচনা সভা
শরণখোলা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ ও প্রশমন দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য রেলি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা চত্বরের প্রধান সড়ক সমূহ প্রদক্ষিণ করে রেলিটি প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়ে
উপজেলা পরিষদ কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সুদীপ্ত কুমার সিংহ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রকল্প অফিসার জনাব মোঃ আমিরুল ইসলাম , উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, শরণখোলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আহবায়ক জনাব শেখ মোহাম্মদ আলী ,উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন মাস্টার জনাব আফতাব ই আলম , সিপিপি শরণখোলা টিম লিডার জনাব মাহবুবুর রহমান মিন্টু, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ফিল্ড সুপারভাইজার জনাব আব্দুল হাদী আকুঞ্জি,এছাড়া বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,বন্যা, অগ্নিকাণ্ড দুর্যোগ দুর্ঘটনায় পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ধৈর্যের সাথে কাজ করতে হবে।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সিপিপি বন্যার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সমাজসেবক সহ সমাজের সকল সচেতন মানুষকে দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে স্বেচ্ছা শ্রম দিয়ে জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি। সব ধরনের দুর্যোগ দূর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেভাবে সাধারণ মানুষের সেবা করেন তা অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। সমাজের সকল শ্রেণীপেশার মানুষকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করার আহ্বান জানান তিনি। ইতিপূর্বে বন্যা পরবর্তী সময়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মীরা যেভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ লাইন সরবরাহের চেষ্টা করছে সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ এবং ভবিষ্যতে আরো আন্তরিকতার সাথে বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করার আহ্বান জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, রেমাল সহ বিভিন্ন বন্যা ও দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন এনজিও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যেভাবে এগিয়ে এসেছে সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আশা করি ভবিষ্যতে তাদের এই ধারা অব্যাহত রেখে জনকল্যাণ মূলক কাজে আরো উৎসাহিত হবেন তারা।
শরণখোলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, বন্যা ও খরা প্রতিরোধে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিকল্প নেই আর সেজন্য গাছ লাগাতে হবে, বজ্রপাত থেকে রক্ষায় গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে,অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এনজিও প্রতিনিধিগণ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমূহ জনগণের পাশে থেকে শুকনা খাবার সহ জনগণকে সাইক্লোন সেল্টার সহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে পারলে তুলনামূলক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে। দুর্যোগ কালীন সময় সকলের মোবাইল ও টর্চে চার্জ দিয়ে আগাম প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান।