বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী সাংবাদিক মোজাম্মেল হক বাবু ও শ্যামল দত্তসহ চারজনকে আটক করেছে জনতা। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ- এবি পার্টি পাটকেলঘাটায় আবারও সাতক্ষীরা খুলনা মহাসড়ক অবরোধ। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পচা বাংলাদেশ থেকে তরতাজা বাংলাদেশ করে রেখে যাবো নড়াইলে  ট্রাক চাপায় নাতিসহ ৩ জন নিহত. আহত ১ ডিসি,পদে নিয়োগ বঞ্চিত অভিযোগ তুলে সচিবালয়ে হট্টগোল বাগেরহাটের রামপালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শান্তি-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নেত্রকোণায় ভারতীয় ২৭৪বস্তা চিনি জব্দ  উপটুয়াখালী মাদরাসা সুপারের পদত্যাগের দাবিতে ক্লাস বর্জনসহ ও মানববন্ধন  

টাঙ্গাইল সদরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সরকারি সা’দত কলেজের রোভার স্কাউট সদস্যরা 

সরকারি সা'দত কলেজ প্রতিনিধি।
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পরপরই ভেঙে পড়েছে পুলিশ বাহিনী। আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা কে কেন্দ্র করে দেশের অনেক থানা, পুলিশ বক্সসহ পুড়িয়ে ফেলা হয় বিভিন্ন পুলিশ স্থাপনা সমূহ। সেই সাথে আহত এবং নিহত হয় অনেক পুলিশ সদস্য। সেটিকে কেন্দ্র করে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ১১দফা দাবিতে কর্ম বিরতি ঘোষণা করেন। যার ফলে দেশের সড়কে নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। এই অস্থিতিশীল অবস্থায় রাজধানীর সড়কের ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় রয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
আজ শনিবার (১০ আগস্ট)  টাঙ্গাইলের গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল সড়কে দেখা গেছে সরকারি সা’দত কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের সিনিয়র রোভারমেট শাহরিয়ার তুহিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্য সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবীরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে।
টাঙ্গাইল পুরাতন বাস স্ট্যান্ড, কুমুদিনী কলেজগেট, নতুন বাস স্ট্যান্ড এবং নিরালা মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়। রাস্তায় সিগন্যালের পাশাপাশি তারা ফুটপাতে হাঁটা, নির্দিষ্ট স্থানে গাড়িতে উঠা-নামা ও গণপরিবহন গুলো নির্দিষ্ট স্থানে থামার নির্দেশনা দিচ্ছেন। নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য করছেন। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি তারা মানুষকে নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা এ ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে নজির সৃষ্টি করেছেন। তবে শিক্ষার্থীদের উক্ত কার্যক্রমে যেমন পথচারী দের ভোগান্তি কমেছে তেমনি নতুন করে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা চালক বা সিএনজি চালকসহ অনেকেই। জানা গেছে শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের ফলে তাদের যাত্রী উঠা-নামার পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয় না। এতে তারা পর্যাপ্ত যাত্রী নিতে পারছে না। যা দিনশেষে তাদের আর্থিক প্রভাব পড়ছে। তাই তারা শিক্ষার্থীদের উপর আহ্বান জানান যেন তাদের পর্যাপ্ত সময় বা একটি নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত করে দেয়া হয় যে স্থানে তারা যাত্রী উঠা-নামা করতে পারবে।
সরকারি সা’দত কলেজ রোভার স্কাউটের সিনিয়র রোভারমেট শাহরিয়ার তুহিন বলেন, আমরা আজকে প্রতিটি ড্রাইভারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি এবং বলা হয়েছে আপনারা রাস্তার মাঝখানে না দাড়িয়ে গাড়িটি এক পাশে রেখে যাত্রী উঠা নামা করবেন যাতে অন্য গাড়ি চলাচলে বিগ্ন না হয়।
সরকারি সা’দত কলেজ রোভার স্কাউটের রোভারমেট ইকরামুল হক ইমন বলেন, আমরা দ্বায়িত্ব পেয়ে খুব সুন্দরভাবে পরিচালনার চেষ্টা করেছি। সাধারণ মানুষের যেভাবে ভালোবাসা পেয়েছি ঠিক তেমনি তারা আমাদের উপর ভরসা রেখেছে যে, আমরা সুন্দর একটি ট্রাফিক ব্যবস্থা উপহার দিতে পারবো। আজসহ প্রায় ৩দিন ধরে আমরা দুই (০২) শিফটে কাজ করে যাচ্ছি।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..