বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
টাঙ্গাইলের সা’দত কলেজে তারুণ্য উৎসব উদযাপন রূপা হকের পদত্যাগের দাবিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাঙলা কলেজে তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠিত পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের   উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সাতক্ষীরা বিষপান দুই সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা  লন্ডন-বাংলা প্রেস ক্লাবের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত প্রতিপক্ষকে কু’পিয়ে কিশোরী মেয়েকে অপহরণের নাটক সাজিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা বরুড়ায় শতাধিক ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত আর থাকছে না সাত কলেজ নেত্রকোনায় ছাত্রীকে কুপ্র’স্তাবে শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে বি’ক্ষোভ

টাঙ্গাইলের সা’দত কলেজে তারুণ্য উৎসব উদযাপন

সা'দত কলেজ প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫

 

টাংগাইল সরকারি সা’দত কলেজ কর্তৃক আয়োজিত তারুন্য উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে তারুণ্য মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ০৯ঃ৩০ ঘটিকায় এই আয়োজন করা হয়। উক্ত মেলার উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মনিরুজ্জামান মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আবদুল্যাহ তালুকদার (সম্পাদক, শিক্ষক পরিষদ, সরকারি সা’দত কলেজ)। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মুজিবুল আহসান। উপস্থিত ছিলেন জনাব আতিকুর রহমান (যুগ্ম সম্পাদক, শিক্ষক পরিষদ, সরকারি সা’দত কলেজ), জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম (কোষাধ্যক্ষ, শিক্ষক পরিষদ, সরকারি সা’দত কলেজ), সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অন্যান্য শিক্ষকমণ্ডলী, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সরকারি সা’দত কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ, বি এন সি সি, রোভার স্কাউট, বাধন সহ সকল সহযোগী সংগঠন এর সদস্যবৃন্দ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর মোঃ শাহজাহান আলী (আহ্বায়ক, তারুণ্য উৎসব উদযাপন কমিটি)। উপস্থাপনায় ছিলেন ড.আরমান হোসাইন আজম (সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ) এবং লিপি আক্তার (প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ)।

উক্ত মেলায় মোট ৫৩ টি দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার মধ্যে ১৯ টি বিভাগীয় দোকান এবং বাকিগুলো সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীবৃন্দ মাঝে বন্টন করা হয়। তাদের মাঝে প্রতিযোগিতা মূলক অংশগ্রহণ দেখা যায়। যেখানে কলেজের ১৯ টি বিভাগের দোকানের মধ্যে পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- প্রথম স্থান: উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, দ্বিতীয় স্থান: গণিত বিভাগ, তৃতীয় স্থান: রসায়ন বিভাগ। ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের মধ্যে যারা পুরস্কার পেয়েছেন তারা হলেন- প্রথম স্থান: ফজিলার মনোহর খাদ্য, দ্বিতীয় স্থান: বায়োস্কোপ, তৃতীয় স্থান: টেস্টি কেক বাই পিউলী। চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা যারা পুরষ্কার পেয়েছেন তারা হলো- প্রথম স্থান: মোঃ আমিনুল ইসলাম (সহকারী অধ্যাপক বাংলা বিভাগ), দ্বিতীয় স্থান: মোঃ সাইফুল ইসলাম (প্রভাষক বাংলা বিভাগ), তৃতীয় স্থান: আব্দুল্লাহ আল মামুন (ইংরেজি বিভাগ, চতুর্থ বর্ষ), চতুর্থ স্থান: মাহবুবা খন্দকার (বাংলা বিভাগ, দ্বিতীয় বর্ষ)।

আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর মোঃ শাহজাহান আলী তার স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে উপস্থিত সকলকে সালাম জানিয়ে বলেন, আমরা ২০২৪ সালের ০৫ ই অগাস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতির পরবর্তীতে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই তারুণ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ এবং অত্র এলাকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে আজকের এই মেলা আয়োজিত হচ্ছে। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং বিভিন্ন কমিটির সাথে থেকে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে এই মেলাকে সাফল্যমন্ডিত করে তুলছেন।

পরবর্তীতে বিশেষ অতিথি শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোঃ আবদুল্যাহ তালুকদার উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, এই নতুনত্বের পিছনে যারা বিশেষ অবদান রেখেছেন তারা হলেন তরুণ প্রজন্ম (Gen- Z)। এই Gen-Z এর সদস্যরা বাংলাদেশকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে এসেছে। তাদের এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো- তারা কোনো বিষয়কে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে না, যেকোনো ধরনের বিষয়কে তারা সচেতনভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং নৈতিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে মূল্যায়ন করে। এই তারুণ্য উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হলো তরুন প্রজন্মদের উজ্জীবিত করা, তাদের সৃষ্টিশীল বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট করা জন্যই নতুন সরকারের এই পদক্ষেপ নেয়া।

প্রধান অতিথি ও আজকের অনুষ্ঠানের উদ্বোধক অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মনিরুজ্জামান মিয়া তার বক্তব্য বলেন, আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন হওয়ার পথ থেকে ২৪ সালের তরুণ সমাজ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ শাসন কে প্রতিহত করে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বাদ দিয়েছে।এই তরুন সমাজের হাতে এই দেশ ও জনগোষ্ঠীর নিরাপদ। আমরা আজকের এই মেলায় গ্রাম বাংলা সংস্কৃতি দেখতে পারছি। আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি, গ্রাম বাংলার পিঠা উৎসব আজকের এই মেলায় তরুণ সমাজ ধারণ করতে পেরেছে। পাশাপাশি আধুনিকতা গ্রহণ করতে পেরেছে। যার ফলে এই মেলার স্টল গুলোতে রোবট, কম্পিউটার এবং তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নতি দেখা যাচ্ছে। সকল কার্যক্রমে যাতে সা’দত কলেজের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যেতে পারে এই আশা ব্যক্ত করি। বক্তব্যের পরিশেষে বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে আজকের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..