রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
ছেলের গলায় ছুরি ধরে গৃহবধূকে (২৮) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন।  বর্ষপূর্তি বছর পূর্ণ হলেও জুলাই শহীদরা এখনও সম্মাননা পায়নি কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলো সা’দত কলেজ  নেত্রকোণায় বিএনপি নেতার গুদামে সরকারি চাল, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা ধর্মপাশায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, পুলিশ কনস্টেবল গ্রেফতার। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছরে রাজি দিয়ে বিএনপি, আকাশসীমা বন্ধ করল মধ্যপ্রাচ্যের ৪ দেশ, ঢাকা থেকে সব ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা সাবেক সিইসিকে হেনস্তায় জড়িতদের বিচার চান রিজভী লোহাগড়ায় তিলক্ষেত থেকে প’চা-গ’লা অবস্থায় মহিলার লা’শ উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য

ছেলের গলায় ছুরি ধরে গৃহবধূকে (২৮) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় দুই বছর বয়সী ছেলের গলায় ছুরি ধরে গৃহবধূকে (২৮) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার একটি চা-বাগান সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা ওই গৃহবধূকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেন। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই গৃহবধূ ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে ওই গৃহবধূ পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। এর আগে, এদিন সকালে উপজেলার জগদল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগদল বাজার এলাকার জনি ইসলাম (২৭), বিপ্লব হোসেন (২৫), মকছেদুল ইসলাম (৩৩) এবং সাতমেড়া ইউনিয়নের বদিনাজোত এলাকার সাদেকুল ইসলাম (২৮)।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার একটি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন ওই গৃহবধূ। শুক্রবার রাতে বাসা থেকে ইজিবাইকযোগে অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। সদর ইউনিয়নের তিনমাইল সুরিভিটা এলাকায় পৌঁছলে তার ইজিবাইকের পেছনে থাকা আরেকটি ইজিবাইকের পরিচিত চালক নাম ধরে ডাকতে থাকেন। পরে থামতেই তাকে জনিসহ ছয়জন সড়কের পাশের একটি চা-বাগান সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে শিশু সন্তানের গলায় ছুরি ধরে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন তারা। ধর্ষণের একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়ে থাকেন ওই গৃহবধূ। পরে স্থানীয় একটি সড়কের পাশে তাকে ফেলে পালিয়ে যান ধর্ষকেরা। ৯৯৯-এ খবর পেয়ে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, ‘‘আমার ছোট্ট ছেলের গলায় ছুরি ধরেছিল তারা। তখন আমি নিরুপায় হয়ে পড়ি। চিৎকার করতে চাইলে আমাকে তারা ভয়ভীতি দেখায়। পরে একে একে ছয়জন আমাকে ধর্ষণ করে। চারজন পরিচিত আর দুইজন অপরিচিত। আমি ধর্ষণের শিকার হলাম এখন আমার কাছের লোকজন আপসের জন্য চাপ দিচ্ছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’’

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আবুল কাশেম বলেন,রাতে পুলিশ অচেতন অবস্থায় এক নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। ধর্ষণের বিষয়টি পরীক্ষার পরে জানা যাবে। আপাতত তিনি শারীরিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছেন।

পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন,৯৯৯-এ খবর পেয়ে পুলিশের একটি টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখানে অচেতন অবস্থায় এক নারী এবং তার সঙ্গে থাকা একটি শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ওই নারীর জ্ঞান ফিরলে তিনি ঘটনার বিস্তারিত জানান। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’’

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..