বরফকলের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ১ ভোলার দৌলতখানে বরফকলের অ্যামোনিয়া গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় সিদ্দিকা খাতুন নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছে। তিনি পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের মৃত হাদিসের স্ত্রী। আহত হয়েছেন মফিজের দের বছরের মেয়ে ফাইজা ও বেল্লালের মেয়ে হুমাইরা।
শনিবার (৮ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের স্লুইজগেইড সংলগ্ন বেড়ীবাধের ওপর খোরশেদ আলম দরবেশের বরফকলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের প্রথমে দৌলতখান সদর হাসপাতালে নিলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে সেখানেই সিদ্দিকা খাতুনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, দৌলতখান থানা পুলিশ, দৌলতখান ও ভোলা ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় ৭ টায় খোরশেদ আলম দরবেশের বরফকলে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেখানে গিয়ে স্থানীয়রা দেখতে পায় বরফকলের ঘরের ঢিনের চালা এবং ওয়াল ফেটে ইটশুড়কি পার্শ্ববর্তী দোকান বসত বাড়ির ওপর ছিটকিয়ে পরে। ফলে সিদ্দিকা খাতুন, ফাইজা ও হুমাইরা গুরুত্বরভাবে অসুস্থ হয়ে পরে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে সিদ্দিকা খাতুনের মৃত্যু হয়। তবে ঘটনার পরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসীকে সরিয়ে দেয়ায় লোকজনের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক সংখ্যা ঠিক করা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
ভোলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক লিটন আহমেদ জানান, দৌলতখানের থানা রোডে অ্যামোনিয়া গ্যাস বিস্ফোরণের সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে আসি। গ্যাস বিস্ফোরণের কারণে ঘরের ঢিনের চালা উড়ে যায় ও দেয়াল ফেটে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দুইজন দক্ষকর্মী প্রটেকশন নিয়ে বরফকলের ভিতরে পাঠানে হাঠানো হয়। তবে সেখানে কোন আহত বা নিহত পাওয়া যায়নি। অ্যামোনিয়া গ্যাস খুব ক্ষতিকারক। তাই আশপাশের লোকজনদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে। অ্যামোনিয়া গ্যাস রক্ষণাবেক্ষণের ক্রটি ছিলো বলে এ ঘটনা ঘটতে পারে।