সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মজনু চৌধুরীর নেতৃত্ব পুলিশের ওপর হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ডাকা শালিষে বসার আগেই মজনু চৌধুরীর নেতৃত্বে এ হামলা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে থানা চত্বরে এঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত চার সদস্য হলেন, এএসআই আসলাম, কনস্টেবল মিলন,ফয়সাল ও মিজান।
কলারোয়ার জুঁইখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লাল্টুর পক্ষে জুঁইখালী ্ইউনিয়নে তারা একটি বিজয় মিছিল বের করেছিলেন। তবে এতে বাঁধা দেন ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অজিয়ার চেয়ারম্যান,মিজান সরদার ও বাবু হোসেন। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। একপর্যায়ে দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কিও হয়। পরবর্তীতে অজিয়ার রহমান থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লাল্টুর ভাগ্নে ইমরান সরদার জানান, থানায় করা অভিযোগের ভিত্তিতে দু’পক্ষই থানা চত্বরে হাজির হন। বিজয়ী চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু ও পরাজিত প্রার্থী এসএম আলতাপ হোসেন লাল্টুসহ দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শালিষ শুরু হওয়ার আগেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মজনু চৌধুরী থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে আস্ফালন করেন। ওসি তার প্রতিবাদ করলে মজনু চৌধুরী ও তার ছেলে আরিফ চৌধুরী তার দিকে তেড়ে যান। এসময় পুলিশ সদস্যরা ওসির পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করলে মজনু চৌধুরী ও তার ছেলে আরিফ চৌধুরীর নেতৃত্বে চার পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক কিল,চড় ও ঘুষি মেরে আহত করেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে,মজনু চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান বলেন, মজনু চৌধুরীকে আটকের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে চার পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই কর্মকর্তা।
এবিষয়ে জানতে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম আলতাপ হোসেন লাল্টুকে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..