বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে যারা বিগত কয়েক দশকের মাপকাঠিতে মাপছেন, তাদের কাছে নিশ্চিতভাবেই পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্যের বিষয় এটি। কোন দেশ তার সীমান্তবর্তী প্রতিবেশীর সঙ্গে কতটা দৃঢ় এবং ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে, তার নিদর্শন স্থাপন করেছে বাংলাদেশ-ভারত। কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব হয়েছে? বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কটা আসলে শত বছরের। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে আমরা শুধু ভাষার মিল তা নয়, বরং পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশ তার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং জাতিগত বৈশিষ্ট্যগুলোও ভাগ করে নিয়েছে। কথায় বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। দুই দেশের মানুষকে এই বাঙালি সত্তাটি এক করে রেখেছে শত শত বছর ধরে।
কিন্তু শুধু কী এই শত শত বছরের সম্পর্কই আমাদের একত্রিত করেছে? না, সেটিও সত্য নয়। কেননা এই শত শত বছরের সম্পর্ক থাকার পরও ১৯৪৭ সালে শুধু ধর্মের ভিত্তিতে সৃষ্টি হয়েছিলো ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি রাষ্ট্র। কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ছিলো না কোন মানসিক, সাংস্কৃতিক বা ভাষাগত সম্পর্ক। সেই সঙ্গে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ নীতি এই দেশের মানুষকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করায়। আর এই দেশের সাধারণ মানুষকে সেদিন একতাবদ্ধ করেছিলেন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শত বছরের সম্পর্ক যে ধর্মের দেয়ালে ছেদ পরে তা পুনরুদ্ধার হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের মাধ্যমে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান যখন এদেশে গণহত্যা চালাচ্ছে তখন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় ভারত। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ভারতের সঙ্গে সেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে নতুন করে শুরু হয় শত বর্ষের সেই সম্পর্ক।
বাংলাদেশ ও ভারত শুধু সীমান্ত সম্পর্কে আবদ্ধ নয়, বরং শত বর্ষ ধরে উভয় দেশ পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল তাদের খাদ্য, শিল্প, সাহিত্য, নদী, যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে। ব্রিটিশ শাসন আমলেও ভারতের সঙ্গে আমাদের দেশে দুইটি পথ দিয়ে ছিলো রেল সংযোগ। মাত্র ৭০ বছর আগেও এই দুই দেশ তাদের সবকিছু ভাগ করেই চলতো। যা মুক্তিযুদ্ধের পরেও ছিলো জাতির পিতা ক্ষমতায় থাকাকালে। অধিক জনসংখ্যা হওয়ার কারণে বাংলাদেশ তার নিজ দেশের উৎপাদিত পণ্যের মাধ্যমে জনগণের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। ফলে চাহিদা পূরণ করার জন্য বহির্বিশ্ব থেকে প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য আমদানি করতে হয়। এক্ষেত্রে ভারত থেকে এসব পণ্যদ্রব্য আমদানি করা সময় ও অর্থ সাশ্রয়ী। কারণ, ভারত প্রতিবেশী হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা পাওয়া যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন সংযোজন ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল সম্মেলনে নীলফামারীর চিলাহাটি সীমান্ত থেকে পশ্চিমবঙ্গের হলদিবাড়ী পর্যন্ত রেল যোগাযোগ উদ্বোধন, যা ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া দুই দেশের মানুষের রুচি ও পছন্দের মিল থাকায় বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যদ্রব্যও পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক সম্পর্কের শুরু হয় ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বাংলাদেশের সরকার প্রধান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক ২৫ বছর মেয়াদি মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে। ১৯৭৩ সালে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৭২ সালে মৈত্রী চুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সূচনা হলেও ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কাপুরুষোচিতভাবে হত্যা করা হলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের পাশাপাশি অন্যান্য সম্পর্কের দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। এরপর থেকে বাংলাদেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চলতে থাকে।
কিন্তু যেই বাংলাদেশের জন্ম লাখো শহীদের ত্যাগের বিনিময়ে। সেই বাংলাদেশকে এত সহজে হারতে দেননি বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার হাত ধরেই আবারো নতুন উদ্যমে গড়ে ওঠে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে তিনি স্বাক্ষর করে গঙ্গা পানি চুক্তি। বাংলাদেশের চিরবন্ধু ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে জাতির পিতার কন্যা অতুলনীয় এক পর্যায়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হন ২০১০ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর। দেশর অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোকে পাশ কাটিয়ে ২০১১-১২ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে মনোযোগী হন তিনি। এই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয় যখন নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন।
দুই দেশের মধ্যকার পণ্য পরিবহন যেন করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ না হয় সেই জন্য কন্টেইনার ট্রেন ও পার্সেল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। বাংলাদেশের রেল বিভাগকে সমৃদ্ধ করতে ১০টি ব্রডগেজ ডিজেল চালিত লোকোমোটিভ ট্রেন ইঞ্জিন উপহার দেয়া ভারত। এ ইঞ্জিন হস্তান্তরের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে গত বছর ২৭ জুলাই উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী ড. জয়সঙ্কর এবং রেলওয়ে মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন।
২০১৯ সালে অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে ঢাকা-শিলিগুড়ি-গাঙ্গটক-ঢাকা এবং ঢাকা- শিলিগুড়ি-দার্জিলিং-ঢাকা বাস সার্ভিস চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ঢাকা- শিলিগুড়ি-গাঙ্গটক-ঢাকা রুটে এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২১ সালের ৯ মার্চ ফেনীতে মৈত্রী ব্রিজ চালু করেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এই ব্রিজের মাধ্যমে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশকে সংযুক্ত করা হয়েছে।
শুধু সড়ক বা রেলপথ নয়, বরং নৌপথেও যোগাযোগ স্থাপন করা হচ্ছে ভারতের সঙ্গে। ‘প্রোটকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড’ (পিআইডব্লিউটিটি) চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ-ভারতের জন্য গোমতী নদীতে সোনামুড়ি-দাউদকান্দি রুট এবং পদ্মায় ধুলিয়া-গোদগারি থেকে আরিচা পর্যন্ত রুটে নৌ পথে যোগাযোগ স্থাপন হবে। এ ছাড়াও গত বছর জুলাই মাসে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আগরতলায় পণ্য পরিবহন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত দৃঢ় সম্পর্কে আরেকটি নিদর্শন হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফল। বিগত বছরে করোনার কারণে কোন দেশেই সফরে যাননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু মুজিববর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঠিকই বাংলাদেশ সফর করেছেন তিনি। শুধু রাষ্ট্রীয় সফর নয়, এই সময় দুই দিন বাংলাদেশ থেকে প্রান্তিক জেলা সাতক্ষীরায়ও গিয়েছিলেন তিনি।
সীমান্তের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই সীমান্ত হাট চালু করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে তা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত হাট নিয়ে আলাপ-আলোচনার পর অবশেষে আটটি হাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ইতিমধ্যে চারটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এসব হাট সীমান্তের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণের পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্যেও ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ-ভারত অর্থনৈতিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক অগ্রগতির অন্যতম দিক হচ্ছে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ভারতের বিনিয়োগ।
ভারতের আমদানি ও রিলায়েন্স বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করার চুক্তি করেছে। এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে বিদ্যমান বিদ্যুৎ ঘাটতি লাঘব করতে পারবে। তাছাড়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা ‘পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১০’ এ আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ থেকে বিদ্যুৎ আমদানিকে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করে ২০৩০ সালের মধ্যে ন্যূনতম ৩৫০০ মেগাওয়াট আঞ্চলিক গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক উক্ত পরিকল্পনা সংশোধনপূর্বক আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে ৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উক্ত লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সরকার আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বর্তমানে ভারত থেকে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে।
বাংলাদেশ ভারতের সবচাইতে বড় উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশকে ভারত গত ৮ বছরে অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা করেছে। আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ড্রেজিং কার্যক্রম এবং ‘ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’ তৈরিতে সহায়তা করছে ভারত।
বাংলাদেশের জন্য ভারতের আরেকটি বন্ধুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হলো হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভলোপমেন্ট প্রোজেক্ট (এইচআইসিডিপি’স) বাংলাদেশে এরই মধ্যে ৬৮টি এইচআইসিডিপি’স প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাণাধীন রয়েছে আরো ১৬টি। মূলত দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ, শিক্ষা ভবন নির্মাণ, প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, অনাথআলয় প্রতিষ্ঠা এই প্রকল্পগুলোর আওতায় রয়েছে।
মুসরিতে ন্যাশনাল সেন্টার ফর গুড গর্ভনেন্স (এনসিজিজি) প্রতিষ্ঠানে ভারত সরকার বাংলাদেশের ১৮০০ সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে ২০১৯ সালের। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিচারবিভাগের ১৫০০ জন কর্মকর্তাকে ভারতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনের পক্ষ থেকে ২০০ জনকে স্কলার প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী গ্রাজুয়েশন ও পোস্ট গ্রেজুয়েশনসহ এমফিল ও পিএইচডি করতে যায় ভারতে।
১৯৪৭ সালের পূর্বে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অধিকাংশ বাণিজ্যই হতো আজকের বাংলাদেশের ওপর দিয়ে। চট্টগ্রাম বন্দর এই অঞ্চলের পণ্য পরিবহনের অন্যতম রুট ছিল। নদী, সড়কপথ ও রেলপথ—এই অঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থার বাস্তবতার আলোকেই তৈরি। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে রেল ও নদী পথ ভেঙে পড়ে এবং পাকিস্তান ভারতের ট্রানজিট অধিকার বাতিল করে। পরবর্তীকালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হলে ১৯৭২ সালে নদীপথের ট্রানজিট পুনরায় চালু করা হয়। বিশ্বায়নের এই যুগে কোনো দেশ বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে না। বাংলাদেশও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষ করে ব্যবসায় বাণিজ্য সম্প্রসারিত করতে পারে। ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য আলোচনায় ট্রানজিট আর ট্রানশিপমেন্টের বিষয়টি বর্তমানে সবচাইতে গুরুত্ব পাচ্ছে এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দৃঢ় সম্পর্কের কারণও এটি।
অবশ্য এই কোন সম্পর্কই হয়ত কার্যকর হতো না, যদি না জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতায় না আসতেন।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট।