শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
গলাচিপায় বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত: ১৪৪ ধারা জারি পটুয়াখালীর মহিপুরে ৩ টি অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে জায়গা জমি বিরোধের জের ধরে হামলায় এক মহিলা আহত পুলিশ যেতে ভয় পেয়েছে’: মুজিবের বাড়ি ভাঙার সময় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্নে ইউনূস বাংলাদেশ ধর্মপাশায় কোরবানির ইতিহাস ও শরীয়তের বিধান বিষয়ক প্রশ্নোত্তর ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা হাসিনাসহ সাত জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সালাহউদ্দিনের গুমের অভিযোগ ডিসেম্বরেই নির্বাচনে অনড় বিএনপি,এনসিপি বলছে, জুলাই সনদের আগে ভোটের তারিখ নয় লাইভে এসে আত্মহত্যা করলেন হিরো আলম মোহনগঞ্জে নিষিদ্ধ জালের গুদামে অভিযান, বিপুল পরিমাণ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস লোহাগড়ায় আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ ক্যাবল চুরি, অন্ধকারে ২৬ হাজার গ্রাহক, জন ভোগান্তি চরমে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চবির হলে মাদক বানিজ্য

নাফিউল ইকবাল,চবি প্রতিনিধি।
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়’র অনুসারী আশিকুজ্জামান জয়। অভিযোগ উঠেছে তিনি হলে নিয়মিত মাদক সেবন ও কেনা-বেচার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে এক ছাত্রলীগ কর্মীর কক্ষে সন্ধান মিলেছে মাদক সাম্রাজ্যের। তিনি শাখা ছাত্রলীগের উপপক্ষ বিজয়ের কর্মী ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের  শিক্ষার্থী।গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে মাদক সেবনের জের ধরে বিজয় গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটলে আশিকুজ্জামানের মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে উঠে আসে।

ব্যাচমেটদের অভিযোগ, জয়ের মাদক সংশ্লিষ্টতার জন্য কয়েকবার সতর্ক করা হলেও সে উগ্র আচরণসহ খারাপ ব্যবহার করে। মারধরের ঘটনার রাতে তার আবাসিক হলের রুমে গিয়ে মাদক সেবন ও বিক্রির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে জয় রাজনৈতিক

সহকর্মীদের সাথে গালাগালি করে যা এ পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এতে আহত হয় জয়।

এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলী আরশাদ চৌধুরী বলেন, ৪৪০ নম্বর কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে। আমরা নোটিশ দিয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী চলবে। কেউ যেমন আইন হাতে তুলে নিতে পারবে না, তেমনি মাদকের সঙ্গেও জড়িত হতে পারবে না। কারো মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে শৃঙ্খলা কমিটি আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বলেন, সে মাদকের সঙ্গে জড়িত কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য হল প্রভোস্টকে বলেছি। আমি কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করবো না। মাদকের সঙ্গে কারো কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার ছাত্রত্ব থাকবে না।

মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা থাকলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলগুলোতে বেড়েছে মাদকাসক্তদের দৌরাত্ম্য। ক্যাম্পাসে মাদক এতটাই সহজলভ্য হয়ে গেছে যে ক্যাম্পাসে হরহামেশাই মেলে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ নানা ধরনের দেশি-বিদেশি মাদক। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..