পবিত্র রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত হয়নি সোমবার (১১ মার্চ)।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই আদেশের ফলে মঙ্গলবার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে এমনটাই সময়ের আলোকে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রলায়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা এম এ খায়ের।তিনি বলেন, পবিত্র রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত হয়নি। হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ অনুযায়ী স্কুল বন্ধ থাকবে।রমজানে দেশের বেশকিছু স্কুল কলেজের নতুন ক্লাস রুটিন দিয়ে নোটিশ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো না বুঝে এমনটা করে থাকতে পারে। হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্কুল বন্ধ থাকবে।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একই কথা জানান।এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (পলিসি এন্ড অপারেশন) তাপস কুমার আচার্য্য সময়ের আলোকে বলেন, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক স্কুল বন্ধ থাকবে।এর আগে রোববার পবিত্র রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৫ দিন সরকারি বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। গত ৮ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ১১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি, বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। উভয় সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শফিউর রহমান চৌধুরী।রিট আবেদন থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক স্মারকে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক ছুটির তালিকায় এক প্রজ্ঞাপনে পবিত্র রমজান মাসের ৩০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ৮ ফেব্রুয়ারি রমজানের প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার নোটিশ জারি করে। আবেদনকারীর মেয়ে রাজধানীর রাজাবাজারের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। রমজান মাসে স্কুলে যাতায়াত করা ছাত্রী ও অভিভাবকের জন্য চরম দুর্দশার কারণ হবে।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..