সাগর ও শহীদ রাব্বির আত্মার মাগফেরাত কামনায় রাজধানীর সরকারি বাঙলা কলেজে এক বিশেষ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৬টায় কলেজের অডিটোরিয়ামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। এরপর এক আলোচনা সভায় বক্তারা শহীদ সাগর ও শহীদ রাব্বির আত্মত্যাগ স্মরণ করে তাঁদের অবদানের কথা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তাঁদের সংগ্রাম প্রেরণাদায়ক। এই আয়োজন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা দেবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাঙলা কলেজ শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর মিয়া বলেন,
“গত বছর আমি আমার বন্ধুবান্ধব নিয়ে মাঠে ইফতার করতে এসেছিলাম, কিন্তু ছাত্রলীগ আমাদের করতে দেয়নি। এবারে ছাত্রদল পুরো মাসজুড়ে ইফতার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং বিভিন্ন ছাত্রকল্যাণ সংস্থা ইফতার আয়োজন করছে।”
সহকারী এটর্নি জেনারেল ও স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (বিডিআর বিদ্রোহ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল), অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন পাপন বলেন,
“নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে শপথ আমরা নিয়েছিলাম, জুলাই-আগস্টে সেই শপথকে সামনে রেখে যেন আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায়—সেই লক্ষ্যেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য জাহিদ বিন নাসের বলেন,
“সম্মিলিত শক্তি ছাড়া দেশের পরিবর্তন সম্ভব নয়। আসন্ন জুলাই মাসের স্বাধীনতা আন্দোলনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাহিত্যসহ সকল ক্ষেত্রের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।”
শহীদ সাগর ও শহীদ রাব্বির আত্মত্যাগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই, ঢাকা মিরপুর ১০ গোল চত্বরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাঙলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাগর।
অন্যদিকে, পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা আনতে মিরপুরের বাঙলা কলেজে ভর্তি হয়ে মালিবাগের একটি মার্কেটে লিফটম্যান হিসেবে কাজ করতেন বেলাল হোসেন রাব্বি। ডিউটি শেষে ২০২৪ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন। ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ৮ আগস্ট তিনি মারা যান।