বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি- স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি শিক্ষার্থীবান্ধব হবে কবে? ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাচনে সুবিধাজনক স্থানে আবু তালেব, লড়ে যাবেন সেলিম আকবর এবং শামশু। আমরা চাই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহন করুক, যত বেশী অংশ গ্রহন করবে ততবেশী প্রতিযোগিতা পূর্ণ হবে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রথম নারী মহাপরিচালক হলেন শিরীন পারভীন সরকারি সা’দত কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ লোহাগড়ায় প্রচন্ড গরমে ৭ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ, স্কুল ছুটি ঘোষণা  লোহাগড়ায় বাল্যবিবাহের সাথে  সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে চারজনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা লোহাগড়ায় বাল্যবিবাহের সাথে  সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে চারজনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

গুরুদাসপুরে ১০ কোটি টাকার গুড় বাণিজ্য

রাশিদুল ইসলাম,গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
 শীত এলেই নাটোরের গুরুদাসপুরে খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করেন উপজেলার গাছিরা। এখন সেখানে খেজুরের রস থেকে তৈরি গুরে জমজমাট ব্যবসা চলছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে- উপজেলার ৫০ হেক্টর জমিতে খেজুর গাছ রয়েছে।প্রতি হেক্টর জমি থেকে গড়ে প্রায় ৮ টন গুড় উৎপাদন হয়।শীত মৌসুমে প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ১৭৪ কেজি রস পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছের রস থেকে প্রায় ১৭ দশমিক ৪০ কেজি গুড় উৎপাদন হয়।এতে চলতি মৌসুমে প্রায় ৪ লক্ষ কেজি খেজুর গুড় উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। যার বাজারমূল্য আনুমানিক প্রায় ১০কোটি টাকা।
সরেজমিন ঘুড়ে দেখা গেছে-গুরুদাসপুরের ৬ টি ইউনিয়নের সড়ক ও জমির আইল,বাড়ির আঙিনায় ছড়িয়ে আছে ২ লক্ষাধিক খেজুরের গাছ।এর মধ্যে রস আহরণযোগ্য গাছ রয়েছে দেড় লক্ষাধিক।সেসব গাছ থেকে প্রায় ৪ হাজার গাছি এখন রস আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছে।খেজুর গাছের রস সংগ্রহ কার্যক্রমে উপজেলার প্রায় ৩ হাজার পরিবার নির্ভরশীল।
 উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামের সাইদুল জানান, চলতি মৌসুমের শুরুতে তিনি তার ৩০টি খেজুর গাছ থেকে রস আহরণ শুরু করেন। বর্তমানে ২০টি গাছ থেকে রস আহরণ করছেন। প্রতিদিন একটি গাছ থেকে গড়ে ১ হাঁড়ি রস পাওয়া যায়। স্থানীয় বাজারে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে গুড় বিক্রি করেন। এতে প্রতিদিন তার প্রায় ১ হাজার ৪০০ টাকা আয় হচ্ছে। এ ছাড়া খেজুরের রস ৪০ থেকে ৫০ টাকা হাঁড়ি দরে বিক্রি করেন।
 উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মকিমপুর গ্রামের মেহের জানান, প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন। বাড়িতেই গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করেন। কোনো কোনো সময় বাড়ি থেকেও গুড় বিক্রি হয়।
 উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের দস্তনগর গ্রামের ফারুক জানান, তিনি প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫টি খেজুর গাছের রস আহরণ করেন।
উপজেলার খুবজিপুর ইউনিয়নের বিলশা গ্রামের রজব আলী জানান,৪০ থেকে ৫০টি খেজুর গাছের রস আহরণ ও গুড় তৈরি করে বিক্রি করেন।
গুরুদাসপুরের শিক্ষাবিদ আনিছুর রহমান বলেন, ‘ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি, শীতের সকালে গুরুদাসপুরে সব বয়সী নারী-পুরুষ, শিশু, যুবকরা মুড়ির সঙ্গে খেজুরের রস খেয়ে অভ্যস্ত। তবে সম্প্রতি নিপাহভাইরাসের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারের পর থেকে অনেকেই কাঁচা রস খাওয়া ছেড়ে দিলেও খেজুরের রস দিয়ে পায়েস তৈরি করে খান।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশীদ “দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিন” কে বলেন,‘খেজুরের রস ও গুড় দুটোই মানুষের কাছে খুব প্রিয়। তবে কাঁচা রস না খেয়ে গুড় খাওয়া ভালো।’
তিনি আরও বলেন,গুরুদাসপুরে  খেজুর গুড়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানীয় গুড় তৈরির ও বাজারজাতকরণ করণের জন্য হাট বসে। শীতজুড়েই গুরুদাসপুরে সকল হাট-বাজারে খেজুরের গুড় পাওয়া যায়। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে পাঠানো হয়।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..