বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি- স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি শিক্ষার্থীবান্ধব হবে কবে? ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাচনে সুবিধাজনক স্থানে আবু তালেব, লড়ে যাবেন সেলিম আকবর এবং শামশু। আমরা চাই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহন করুক, যত বেশী অংশ গ্রহন করবে ততবেশী প্রতিযোগিতা পূর্ণ হবে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রথম নারী মহাপরিচালক হলেন শিরীন পারভীন সরকারি সা’দত কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ লোহাগড়ায় প্রচন্ড গরমে ৭ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ, স্কুল ছুটি ঘোষণা  লোহাগড়ায় বাল্যবিবাহের সাথে  সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে চারজনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা লোহাগড়ায় বাল্যবিবাহের সাথে  সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে চারজনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

গুরুদাসপুরে ‘সাদা সোনা’ রসুনের বাম্পার ফলনের আশা

রাশিদুল ইসলাম,গুরুদাসপুর(নাটোর)
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
 নাটোরের গুরুদাসপুরে  প্রতি বছরের মতো কৃষকরা ‘সাদা সোনা’ নামে খ্যাত রসুনের আবাদ করছেন।গত বছর রসুনের ভালো ফলন এবং উৎপাদিত রসুনের ভালো দাম পাওয়ায় এ মৌসুমেও তারা রসুন চাষে ঝুঁকেছেন। এদিকে সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারও উপজেলায় রসুনের বাম্পার ফলনের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হবেন বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, গত বছর এ উপজেলায় ৪৫৫০ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ হয়েছিলো।চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৪৮৫০হেক্টর জমিতে রসুন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা বেড়ে ৫২৭৫ হেক্টর জমিতে রসুন রোপণ করা হয়েছে।
উপজেলার বেড়গঙ্গারাম পুর,নয়াবাজার,খুবজিপুর,সোনাবাজু, মকিমপুর,দস্তানগর,ও বামনকোলা গ্রামে রসুনচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মৌসুমের শুরুতে রসুনের ভালো দাম না থাকলেও শেষ সময়ে এসে রসুনের ভালো দাম পেয়েছে কৃষকরা। ভালো দাম পাওয়ায় এ বছরও ওই এলাকার কৃষকরা ব্যাপকহারে রসুন আবাদ করেছেন। এ ছাড়া এবার রসুন বীজের অঙ্কুরোদগমও ভালো হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবং প্রয়োজনীয় সেচ ও সার পাওয়ায় রসুনের পরিচর্যা এখন শেষ পর্যায়ে আর কিছু দিন পরে সাদা সোনা রসুন ঘরে উঠবে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি একর জমিতে রসুন চাষে শ্রমিক ও চাষ বাবদ খরচ হয় প্রায় ২৫ হাজার টাকা। আর বীজ, রাসায়নিক সার ও সেচ বাবদ খরচ হয় আরও ৪০ হাজার টাকা। এতে করে প্রতি একরে খরচ হয় প্রায় ৬৫-৭০ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে একর প্রতি ৬০ থেকে ৬৫ মণ রসুন পাওয়া যায়। গড়ে প্রতি মণ রসুন চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে হলে দাম পাওয়া যায় প্রায় দুই লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা টাকার মতো।
রসুন ঘরে তোলা, বাছাই ও বাজারজাতকরণে আরও প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ বাদ দিলেও লাভ থাকে প্রায় ১ লাখ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। তবে এই দামে রসুন বিক্রি করতে হলে মৌসুমের শুরুতেই বিক্রি না করে একটু অপেক্ষা করতে হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.হারুন-অর রশিদ “দৈনিক কাগজ”কে  জানান, বর্তমানে গুরুদাসপুরে কৃষকদের কাছে রসুন অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল হয়ে উঠেছে।এছাড়া রসুনের সাথে সাথী ফসল হিসেবে বাঙ্গী,মিস্টি কুমড়া,তরমুজ,খিড়া ও লাউ চাষ করে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছে।এ ছাড়া এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো আছে। খরচ কম ও অধিক লাভ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে গত বছর দাম বেশি পাওয়ায় এ বছর এই ফসলের চাষ অনেক বেড়েছে। তারপরও রসুন চাষে কৃষককে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তবে এবারও রসুনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করেন তিনি।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..