বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে: মাফরুজা সুলতানা লোহাগড়ায় শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর জাতীয় নাগরিক কমিটি শরণখোলার ১৩ দফা দাবি সংবলিত স্বারকলিপি মাদারগঞ্জে সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৪ জন আটক। মাদক থেকে যুবকদের দূরে রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই-মাফরুজা সোলতানা ইউএনও’র বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে রেলপথ অবরোধ ও মানববন্ধন নড়াইলে ক্রিকেট তারকা মাশরাফী ও তার পিতাসহ ২৯৫ জনের নামে আবারও মামলা, গ্রেফতার দুই নগরবাসীকে নিরাপদ রাখা হচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মূল দায়িত্ব: ’মিট দ্যা প্রেস’ এ ডিএমপি কমিশনার ভালুকায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দিবস ২০২৪। অর্থনৈতিক শুমারী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত সুবর্ণচরে।

প্রধানমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হলো দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সারকারখানা 

পারভেজ আহমেদ ,পলাশ প্রতিনিধি (নরসিংদী)
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩

উদ্বোধন হলো সরকারের অন্যতম মেগা প্রকল্প দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশ বান্ধব সার কারখানা ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা। রবিবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সার কারখানাটি উদ্বোধন করেন।

জ্বালানী সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব কারখানাটিতে বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হবে। এই মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ইউরিয়া সারের চাহিদা মোটানো ও সুলভ মূল্যে কৃষকদের নিকট সার সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, আমদানী হ্রাস করে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সার কারখানাটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার পর নরসিংদীর পলাশে স্থাপিত দুটি সার কারখানার সক্ষমতা কমে যাওয়ায় সেখানে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন, শক্তি সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর নতুন সার কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার।  ২০১৮ সালের অক্টোবরে নরসিংদী জেলায় ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ২০২০ সালে বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারী রূপ ধারণ করলে প্রকল্পের ভৌত কাজ সাময়িকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
পরে প্রকল্পের ভৌত কাজ  ২০২০ সালের ১৬ আগষ্ট পূর্ণদ্যোমে শুরু হয়। যার দায়িত্ব পায় সিসি সেভেন নামে একটি চিনা এবং জাপানের মিৎসুবিশি হেভী ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর দীর্ঘদিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। দুই প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই  ২০২৩ এর ডিসেম্বরে এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুইমাস আগেই এর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে পরীক্ষামূলক সার উৎপাদন করছে কারখানাটি।
১১০ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন জ্বালানী সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব কারখানাটিতে বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হবে। এই মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি ২১ লাখ টাকা। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৪ হাজার ৫৮০ কোটি ২১ লাখ টাকা আর জাপান ও চীনের ঠিকাদারদের যৌথ কনসোর্টিয়াম ব্যাংক অব টোকিও-মিতসুবিশি ইউএফজে লিমিটেড (এমইউএফজি) ও দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড (এইচএসবিসি) ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকার ঋণ প্রদান করেন।
উদ্বোধনের পরে সেখানে আয়োজিত সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন তিনি। পরে বিকালে নরসিংদীর মুসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভার নরসিংদী জেলার নব নির্মিত ও সমাপ্ত দশটি প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেন এবং নরসিংদী জেলা জনসাধারণের উদ্দেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..