মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৬ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
মোহনগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেন এনসিপি নেতা কচাকাটায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রাস্তা মেরামত কাজ সম্পন্ন। বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় তাদের বিরুদ্ধে. নেত্রকোণায় সোহাগ হত্যা মামলার আসামি ২ ভাই গ্রেপ্তার জরুরি অবস্থা ঘোষণায় লাগবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন, সিদ্ধান্তে একমত রাজনৈতিক দলগুলো বোরকা-হিজাব-মাস্ক পরে অপু বিশ্বাসের আত্মসমর্পণ। ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুলের ছোট ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর শাপলা যদি প্রতীক না হতে পারে তাহলে ধানের শীষও পারবে না: সারজিস আলম সুনামগঞ্জ ১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান কামরুল, পদ্মা সেতুর পাশে মাঝিরঘাট জিরো পয়েন্টে ভয়াবহ নদীভাঙন – জীবন ও জীবিকার সংকট

রামপালে সগুনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে ৪টি পদের বিপরীতে অর্থবাণিজ্যের অভিযোগ 

রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ||
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩
বাগেরহাটের রামপালের সগুনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ টি শুন্য পদের বিপরীতে সভাপতি বিধান চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে নিয়োগের নাম করে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারীরা হলেন, বিদ্যুৎসাহী সদস্য শেখ কালিমুল্লাহ, দাতা সদস্য নরেন্দ্র নাথ পাল, সদস্য মোজাফফর হোসেন, দেবাশীষ পাল, নিত্য পাল। গত রবিবার (১৫ অক্টোবর) ম্যানেজিং কমিটির ওই ৫ সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এ অভিযোগ দাখিল করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ২ তারিখে ৪টি শূন্য পদে লোকবল নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিধান পাল চাকুরী প্রার্থীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থিদের চাকুরী দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন অভিযোগ পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ সভাপতিকে মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করলেও সে কোন রকম অনিয়ম থেকে ফিরে আসছে না বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয় ।
আভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে এলাকায় চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তী নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করলেও সভাপতি বাবুর দোহাই দিয়ে তিনি‌ এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে পারবেন‌ না বলে জানান।
এমতবস্থায়, অভিযোগকারীরা বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি মুক্ত, স্বচ্ছ ও সঠিকভাবে করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রধান শিক্ষক তুহিন বাদশার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ আমিও শুনেছি। এখানে অনৈতিক অর্থবাণিজ্য হচ্ছে, তাই আমি চাই এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে বিষয়টি সুষ্ঠু সুরাহা হোক।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিধান চন্দ্র পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার নামে কেন অভিযোগ হয়েছে তা আমি জানি না, তবে অভিযোগকারীরা আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে৷বলেন একটা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে অভিযোগের বিষয়গুলি দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী করেছেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..