বাউফল(পটুয়াখালী)/বাউফলের নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউনিয়নের বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কাওমিয়া হাফেজিয়া ও নুরানী কিন্ডার গার্টেন মাদ্রাসা এবং এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মোঃ সেলিম গাজী’র (৪০) বলৎকারের (পাশবিক নির্যাতন) শিকার হয়ে আল রাফি(৬) নামের এক শিশু শিক্ষার্থী মারা গেছেন।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার মহাখালী একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিশু শিক্ষার্থী মারা যান।
শিশুটির দাদা আবদুল আলী আকন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, ওই মাদ্রাসার পরিচালক সেলিম গাজী ৪-৫ মাস ধরে শিক্ষার্থী রাফিকে ফুসলিয়ে বলৎকার করে আসছিল। গত ১৪-১৫ দিন আগে রাফি অসুস্থ হয়ে পরলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এর পর রাফির বাবা রেজাউল করিম ছেলের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মহাখালী একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর তার মলদারে ক্যানসার ধরা পরে এবং তা রক্তে ছড়িয়ে পরে। রাফি মহাখালী ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮ টায় মারা যায়। রাফি ওই হাসপাতালে ১২ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এঘটনায় রাফির বাবা ও মায়ের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ঘটনার পর ওই মাদ্রাসার পরিচালক সেলিম গাজী গা ঢাকা দিয়েছেন। নাজিরপুর- তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মহাসিন বলেন, তিনি এ ঘটনা শুনেছেন। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি তিনি অবহিত নন।