ঝিনাইদহ সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল এর অভিযানে ঘুমন্ত নারীদের নগ্ন, অর্ধনগ্ন ভিডিও ধারণের অভিযোগে দুইজন গ্রেফতার।
মোবাইলে ঘুমন্ত অবস্থায় নগ্ন, অর্ধনগ্ন, ভিডিও ছবি ধারণ পূর্বক রাতের আঁধারে নারীদের উত্যক্ত সহ টাকা হাতিয়ে নেওয়া ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পরিকল্পনার ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঝিনাইদহ সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিনেশন সেল।
ইংরেজি ০৫/০৫/২০২৩ তারিখ রাতে সাইবার ক্রাইম ও ইনভেস্টিগেশন সেল, ডিবি, এর অফিসার ও ফোর্সের চৌকস দল ঝিনাইদহের সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব আশিকুর রহমানের নির্দেশনায় শৈলকূপা থানাধীন সাপখোলা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। মো: জুলখার খাঁ (৩২), পিতা- মো: আদিলউদ্দীন খাঁ, ২। মোছা: জান্নাতি খাতুন (২০), পিতা – মো: শামসুল বিশ্বাস, কে সনাক্ত করে পর্ণগ্রাফি উৎপাদন ও সংরক্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী সাপখোলা গ্রামে বিভিন্ন সময়ে রাতের আঁধারে জানালা দিয়ে এলাকার ঘুমন্ত নারীদের নগ্ন অর্ধনগ্ন ভিডিও ছবি ধারণ করে আসছিল। বিষয়টি সাপখোলা এলাকার জনমনে চরম আতঙ্ক ও ভীতির সৃষ্টি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩-০৪-২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ২:৫০ মিনিটের সময় সাপখোলা গ্রামের ফেরদৌস এর স্ত্রী ও কন্যার ঘুমন্ত ছবি তোলার সময় বিষয়টি টের পেয়ে ঘরের ভেতর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির হাত চেপে ধরে তখন তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন ফেলে অজ্ঞাতনামা যুবক পালিয়ে যায়। ফেলে যাওয়া মোবাইলের মধ্যে ফেরদৌসের স্ত্রী- কন্যা সহ সাপখোলা গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক মেয়েদের নগ্ন, অর্ধনগ্ন ছবি ও ভিডিও দেখতে পান। বিষয়টি পুলিশ সুপারের গোচরীভূত হলে উল্লিখিত ঘটনায় জড়িতদের সনাক্তপূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য শৈলকূপা থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। এছাড়াও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ঘটনাস্থলে গিয়ে ছায়া তদন্তের মাধ্যমে উক্ত অভিযোগের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে অভিযুক্ত আসামীদ্বয় কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিন কে বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি জুলকার ও জান্নাতি পরিকল্পনা করে মোবাইলে এলাকার ঘুমন্ত মেয়েদের নগ্ন, অর্ধনগ্ন ভিডিও ও ছবি ধারণ করে পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের কে ব্লাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানা গেছে।
উপরোক্ত ঘটনায় ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে শৈলকূপা থানায় ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১)/৮(২)/৮(৫)(ক) মামলা রুজু হয়েছে।