মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) তুষার কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে নড়াইল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকশ দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের জড়িত এজাহারনামীয় ১নং আসামি পলাশ মোল্যা (৪৪), পিং- মৃত ওলিয়ার রহমান, ৫নং আসামি রুবেল শেখ (৩০), পিং- শাহাজাহান শেখ, ১২নং আসামি গোপিনাথ গুহ ওরফে গোপি (৩০), পিং- নন্দ কুমার গুহ, সর্ব সাং- সীমাখালী, থানা ও জেলা- নড়াইল দের ২০/০৯/২০২১ তারিখে ডিএমপি এর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। আসামিদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রুবেল শেখ ও গোপিনাথ মামলার ঘটনার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।১নং আসামি পলাশ মোল্যার স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে ঘটনাস্থলের পাশে ডোবার মধ্য হতে অদ্য ২৮/০৮/২০২১ তারিখ খুনের কাজে ব্যবহৃত ১টি ছুরি-দা ও ১টি ছ্যানদা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও পূর্বে মামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত সন্দিগ্ধ আসামি নাসিম শিকদারও বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।মামলার এজাহার নামীয় অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অদ্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জনাব প্রবীর কুমার রায়, পিপিএম (বার) তার বক্তব্যে বলেন, চাঞ্চল্যকর লিয়াকত সিকদার হত্যা মামলাটিকে প্রথম থেকেই আমরা খুবই গুরুত্বের সাথে পর্যালোচনা করছিলাম এবং ব্যাপক পুলিশি অভিযানের ফলে হত্যাকান্ডে জড়িত
আসামিদের স্বল্প সময়ে মধ্যে গ্রেফতার করা সম্ভব
হয়েছে। এবং হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।