সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০২:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্সী নজরুল ইসলামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  মিল্টন ব্লেড-ছুরি দিয়ে নিজেই অপারেশন করতেন, তথ্য জানালো ডিবি মধুখালিতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা বিএনপির দন্তত কমিটির বিচার দাবি লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ  লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি- স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি শিক্ষার্থীবান্ধব হবে কবে? ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাচনে সুবিধাজনক স্থানে আবু তালেব, লড়ে যাবেন সেলিম আকবর এবং শামশু। আমরা চাই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহন করুক, যত বেশী অংশ গ্রহন করবে ততবেশী প্রতিযোগিতা পূর্ণ হবে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রথম নারী মহাপরিচালক হলেন শিরীন পারভীন সরকারি সা’দত কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১

কিশোরগঞ্জ ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা।

কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া শ্যামলী রোডস্থ জামিয়াতুস সুন্নাহ’র এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক ছাত্র (১০) কে বার বার বলাৎকারের অভিযোগে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

রোববার (২৯ আগস্ট) দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রের পিতা মো. টিপু সুলতান। তিনি নগুয়া শেষ মোড় এলাকার বাসিন্দা ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তা।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মামলার বাদী বিগত ৫ বছর আগে নগুয়া শ্যামলী রোডস্থ নাঈম কটেজ নামের তিন তলা একটি বিল্ডিংয়ে অবস্থিত জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় তার ছেলেকে কোরান হেফজ করার জন্য ভর্তি করান। সেখানে পড়াশোনা করা অবস্থায় ছাত্রের উস্তাদ।

গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রকে মাদ্রসার তিন তলার বাথরুমে ডেকে নিয়ে জোর করে ভয় দেখিয়ে তার পাজামা খুলে তার সাথে পায়ূপথে যৌন সংগম করেন। এভাবে ছাত্রটির সাথে ঐ শিক্ষক বার বার এমন করতে থাকলে ছাত্রটি তার বাবাকে সব ঘটনা খুলে বলে। সে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার বাবাকে বলে, ‘উনি বারবার আমার সাথে এমন করেন। আমি খুব ব্যাথা ও কষ্ট পাই।’

এসব শুনে ছাত্রের পিতা লোকজন নিয়ে মাদ্রাসার পরিচালকের কাছে সব খুলে বলেন। তখন পরিচালক অভিযুক্ত শিক্ষককে ডেকে এনে ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে ওই শিক্ষক এক পর্যায়ে সকলের সামনে দোষ স্বীকার করেন।

তখন ছাত্রের পিতা অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে পরিচালকের জিম্মায় রেখে কিছুক্ষণের জন্য লোকজন নিয়ে বাসায় চলে যান। পরে তারা আবার ফিরে এসে দেখেন অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে গেছেন। পরে ওই মাদ্রাসার পরিচালককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে পালিয়ে যেতে দিয়েছেন বলে জানান।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক পিপিএম জানিয়েছেন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..