ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার একটি ভবনে হামলাচেষ্টা করা হয়েছে। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের দাবি সে হামলাচেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছে তেহরানের নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার ইরানের একটি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এমনটা জানিয়েছে আল জাজিরা।
আল জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, ড্রোনের মাধ্যমে ভবনটিতে হামলাচেষ্টা করা হয়েছিল। কোন ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির আগেই তা বানচাল করতে সক্ষম হয় ইরান।
কারা হামলাচেষ্টা চালিয়েছিল তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি ইরান। তবে তেহরান বলছে হামলাচেষ্টাকারীদের শনাক্তে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের ঘনিষ্ঠ নিউজ সাইট নুরনিউজের দাবি, ভবনের কোনো ক্ষতি হওয়ার আগে নাশকতার পরিকল্পনাটি ঠেকিয়ে দেয়া হয়।হামলার লক্ষ্যস্থল ইরানের তেহরান থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে কারাজ শহরে। যেখানে ইরানের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক কেন্দ্র। ইরানের দাবি স্থানটিকে বহু আগে থেকেই হামলার টার্গেটে রেখেছে তাদের শত্রুপক্ষ। যদিও সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে দেশটির পারমাণবিক কেন্দ্রে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পারবাণবিক কর্মসূচি সীমিত রাখার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ইব্রাহিম রাইসি। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই ভিয়েনায় স্বাক্ষরিত হওয়া চুক্তিতে ফিরে যেতে চায় তার দেশ। তবে আগে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের ওপর থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে চুক্তি করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। চুক্তিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় ইরান। কিন্তু ২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইরানও পারমাণবিক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা শুরু করে।