বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
লোহাগড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন হলে খালেদা জিয়া অংশ নেবেন: আবদুল আউয়াল মিন্টু সুনামগঞ্জ ১ আসনের বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসভা করেন,আলহাজ্ব আনিসুল হক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, মাঠেই চলছে শিশুদের ক্লাস লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলমের আদালতে আত্মসমর্পণ, জেল-হাজতে প্রেরণ ১০২ জন এসি ল্যান্ডকে প্রত্যাহার ইউকে বাংলা” প্রেস ক্লাবের ‘দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত মোহনগঞ্জে ব্যবসায়ীর গ্যাস সিলিন্ডার চুরি, গ্রেফতার-২ খোকসায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। কালীগঞ্জের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে যৌথবাহিনীর উচ্ছেদ অভিযান

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চবির হলে মাদক বানিজ্য

নাফিউল ইকবাল,চবি প্রতিনিধি।
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়’র অনুসারী আশিকুজ্জামান জয়। অভিযোগ উঠেছে তিনি হলে নিয়মিত মাদক সেবন ও কেনা-বেচার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে এক ছাত্রলীগ কর্মীর কক্ষে সন্ধান মিলেছে মাদক সাম্রাজ্যের। তিনি শাখা ছাত্রলীগের উপপক্ষ বিজয়ের কর্মী ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের  শিক্ষার্থী।গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে মাদক সেবনের জের ধরে বিজয় গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটলে আশিকুজ্জামানের মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে উঠে আসে।

ব্যাচমেটদের অভিযোগ, জয়ের মাদক সংশ্লিষ্টতার জন্য কয়েকবার সতর্ক করা হলেও সে উগ্র আচরণসহ খারাপ ব্যবহার করে। মারধরের ঘটনার রাতে তার আবাসিক হলের রুমে গিয়ে মাদক সেবন ও বিক্রির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে জয় রাজনৈতিক

সহকর্মীদের সাথে গালাগালি করে যা এ পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এতে আহত হয় জয়।

এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলী আরশাদ চৌধুরী বলেন, ৪৪০ নম্বর কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে। আমরা নোটিশ দিয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী চলবে। কেউ যেমন আইন হাতে তুলে নিতে পারবে না, তেমনি মাদকের সঙ্গেও জড়িত হতে পারবে না। কারো মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে শৃঙ্খলা কমিটি আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বলেন, সে মাদকের সঙ্গে জড়িত কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য হল প্রভোস্টকে বলেছি। আমি কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করবো না। মাদকের সঙ্গে কারো কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার ছাত্রত্ব থাকবে না।

মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা থাকলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলগুলোতে বেড়েছে মাদকাসক্তদের দৌরাত্ম্য। ক্যাম্পাসে মাদক এতটাই সহজলভ্য হয়ে গেছে যে ক্যাম্পাসে হরহামেশাই মেলে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ নানা ধরনের দেশি-বিদেশি মাদক। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..