বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০২ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
সাতক্ষীরা বিষপান দুই সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা  লন্ডন-বাংলা প্রেস ক্লাবের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত প্রতিপক্ষকে কু’পিয়ে কিশোরী মেয়েকে অপহরণের নাটক সাজিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা বরুড়ায় শতাধিক ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত আর থাকছে না সাত কলেজ নেত্রকোনায় ছাত্রীকে কুপ্র’স্তাবে শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে বি’ক্ষোভ শরীয়তপুরের জাজিরায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযান চলাকালে মিলন বেপারী(৫৫) নামের এক ব্যক্তির মৃ’ত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নতুন দল গঠনের ব্যাপারে যে বার্তা দিয়েছে – তারেক রহমান ভেজাল ধান বীজে কৃষকের সর্বনাশ আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েমের লক্ষ্যে ইউনিয়ন টীম সদস্যদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চবির হলে মাদক বানিজ্য

নাফিউল ইকবাল,চবি প্রতিনিধি।
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়’র অনুসারী আশিকুজ্জামান জয়। অভিযোগ উঠেছে তিনি হলে নিয়মিত মাদক সেবন ও কেনা-বেচার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে এক ছাত্রলীগ কর্মীর কক্ষে সন্ধান মিলেছে মাদক সাম্রাজ্যের। তিনি শাখা ছাত্রলীগের উপপক্ষ বিজয়ের কর্মী ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের  শিক্ষার্থী।গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে মাদক সেবনের জের ধরে বিজয় গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটলে আশিকুজ্জামানের মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে উঠে আসে।

ব্যাচমেটদের অভিযোগ, জয়ের মাদক সংশ্লিষ্টতার জন্য কয়েকবার সতর্ক করা হলেও সে উগ্র আচরণসহ খারাপ ব্যবহার করে। মারধরের ঘটনার রাতে তার আবাসিক হলের রুমে গিয়ে মাদক সেবন ও বিক্রির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে জয় রাজনৈতিক

সহকর্মীদের সাথে গালাগালি করে যা এ পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এতে আহত হয় জয়।

এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলী আরশাদ চৌধুরী বলেন, ৪৪০ নম্বর কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে। আমরা নোটিশ দিয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী চলবে। কেউ যেমন আইন হাতে তুলে নিতে পারবে না, তেমনি মাদকের সঙ্গেও জড়িত হতে পারবে না। কারো মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে শৃঙ্খলা কমিটি আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বলেন, সে মাদকের সঙ্গে জড়িত কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য হল প্রভোস্টকে বলেছি। আমি কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করবো না। মাদকের সঙ্গে কারো কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার ছাত্রত্ব থাকবে না।

মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা থাকলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলগুলোতে বেড়েছে মাদকাসক্তদের দৌরাত্ম্য। ক্যাম্পাসে মাদক এতটাই সহজলভ্য হয়ে গেছে যে ক্যাম্পাসে হরহামেশাই মেলে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ নানা ধরনের দেশি-বিদেশি মাদক। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..