এক হাজার চারশত টাকার জন্য তিন ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সহিদ উল্লাহ্ প্রকাশ সহিদকে গ্রেফতার করে লাকসাম থানা পুলিশ।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ্ আল মাহফুজ জানান, গোয়েন্দার তথ্যসূত্রে
মঙ্গলবার (১৪ ই আগষ্ট) রাতে ওসি তদন্ত টমাস বড়ুয়ার নেতৃত্বে- এস আই আনোয়ার হোসেন এস আই হাবিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শ্রীয়াং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি সহিদ উল্লাহ্ কে গ্রেফতার করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ৬ জানুয়ারি লাকসাম উপজেলার শ্রীয়াং বাজারে দোকান বন্ধ করে কাঁচামাল ব্যবসায়ী উত্তম দেবনাথ (২৭), পরীক্ষিত দেবনাথ (১২) এবং পান ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া (৩৫) ভ্যানযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১২টার সময় লাকসামের শ্রীয়াং এবং রাজাপুর রাস্তার বদিরপুকুর নামক স্থানে পৌঁছলে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ডাকাত পরিচয় দিয়ে মাত্র ১৪শ’ টাকার জন্য রাস্তার পাশে ফসলি জমিতে নিয়ে তিনজনকে গলা কেটে হত্যা করে।
নিহত উত্তম দেবনাথ (২৭) ও পরীক্ষিত দেবনাথ (১২) মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রতাপপুর গ্রামের মণিন্দ্র দেবনাথের ছেলে। এছাড়া বাচ্চু মিয়া লাকসাম জগতপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে।
এরপর ওই বছরের ৭ জানুয়ারি নিহত বাচ্চুর ছোট ভাই কবির হোসেন বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে দীর্ঘ ১০ মাস তদন্ত শেষে লাকসাম থানা পুলিশ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন৷
২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর বুধবার কুমিল্লার তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক নুর নাহার বেগম শিউলী আলোচিত ও নির্মম হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ০৫ জন আসামীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন, যার মধ্যে গ্রেফতারকৃত আসামী অন্যতম।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, (১)লাকসাম শ্রীয়াং এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুর রহমান।
(২) ইয়াকুব আলীর ছেলে মো: শহিদুল্লাহ সহিদ।
(৩) আবদুল মান্নানের ছেলে ফারুক হোসেন মো: (৪)সেলিমের ছেলে মো: রাসেল (৫) মোহাম্মদ উল্লাহ এর ছেলে মো. স্বপন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ০৫ জন আসামীর মধ্যে আব্দুর রহমান, ফারুক হোসেন, রাসেল ওরফে- সবুজ বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। অপর আসামী স্বপন পলাতক রয়েছে।
পুলিশ আজ বুধবার সকালে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি সহিদ উল্যাহ প্রকাশ সহিদকে জেল হাজতে প্রেরন করেন।