নড়াইলের লোহাগড়ার ইতনা ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হাতুড়ি ও লাঠির আঘাতে এস এম বরকত আলী ওরফে সাহেব (৫৯ ) নিহত হয়েছেন।
এদিকে প্রতিপক্ষের নিহতের খবর শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কেরামত মোল্লা (৬৫) মারা গেছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকালে লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের পাংখারচর এলাকার কাজিপাড়া চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
লোহাগড়া থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শেখ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত এস এম বরকত আলী ওরফে সাহেব দক্ষিণ পাংখারচর গ্রামের কাজী পাড়ার মৃত আলফু শেখের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দলিল লেখক।
এছাড়া হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বৃদ্ধ হলেন একই গ্রামের মৃত রউফ মোল্লার ছেলে কেরামত মোল্যা।
পুলিশ এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, ইতনা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাংখারচর গ্রামের কাজীপাড়ার এস এম বরকত আলীর সঙ্গে একই গ্রামের কেরামত মোল্লার জমি নিয়ে ৩ মাস ধরে দ্বন্দ্ব সংঘাত চলে আসছিল।
এ নিয়ে মঙ্গলবার বিরোধপূর্ণ জমির সমাধানের জন্য উভয় পক্ষ পাংখারচর এলাকার কাজীপাড়া চৌরাস্তা বাজারে সালিশে বসেন। এসময় জমির কাগজপত্র দেখার এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাবার্তার এক পর্যায়ে কেরামতের ছেলে নেপাল ও রকির নেতৃত্বে রুনু, হামীম,আমীনসহ ১০/১২ জন হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে এস এম বরকত আলী ওরফে সাহেবকে হত্যা করে।
এদিকে হত্যার খবর শুনে প্রতিপক্ষের প্রধান বৃদ্ধ কেরামত মোল্লা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ দিলরুবা জানান হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শেখ মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। নিহত দু’জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।