দীর্ঘদিন ব্যাবহারের পর ভেঙ্গে যাওয়া একটি বক্স কালভার্টের সংস্কার কাজ নিজের অর্থায়নে করছেন ইউপি সদস্য বেল্লাল খান। তার এ কাজে খুশিও হয়েছিল এলাকাবাসী। কোনমতে জোড়াতালির কাজে তাই প্রশ্নও তোলেননি কেউ। কিন্তু পরে জানা গেল সংস্কার নয় বরং নতুন করে ওই কালভার্ট নির্মানের জন্য বরাদ্দ ছিল দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার সাতশত টাকা। মেম্বরের এমন কর্মকাণ্ডে রীতিমতো বোকা বনে গেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: বেল্লাল খানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আজ (বুধবার) দুপুরে সংশ্লিষ্ট কালভার্টের সামনে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী এলাকবাসী।
জানা গেছে, প্রায় ৭-৮ বছর পূর্বে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল
ইসলামের সময় সায়েম প্যাদার বাড়ির সামনের রাস্তায় কালভার্টটি নির্মিত হয়েছে। ব্যাস্ততম রাস্তা হওয়ায় সম্প্রতি কালভার্টের উপরের অংশে বেশ বড় একটি গর্তের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি বর্তমান ইউপি সদস্য বেল্লাল খানের নজরে আনলে তিনি দ্রুত এটি সংস্কারের আশ্বাস দেন। কথামত কয়েকদিন পরেই কাজও শুরু করে দেন। তখন স্থানীরা বরাদ্দের বিষয় জানতে চাইলে বলেন, “এখানে সরকারি কোন বরাদ্দ নেই, আমার নিজের পকেটের টাকায় সংস্কার করে দিচ্ছি।” তার এমন বক্তব্যের পর কাজ নিয়ে আর কেউ প্রশ্ন তোলেননি। কিন্ত বিপত্তি বাধে কাজ শেষে গত দুদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদের লাগানো নাম ফলক দেখে। সেখানে এলাকাবাসী দেখতে পান ব্যাক্তিগত নয় বরং কালভার্টটি নতুন করে নির্মানের জন্য বরাদ্দ ছিল প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকা। ইউপি সদস্যের এহন কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে মানববন্ধন করে বিচার চেয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে উপস্থিত স্থানীয় দেলোয়ার শরীফ, ছালাম শরীফ, রাজ্জাক হাওলাদার ও রবিউল বলেন, ভাঙ্গা কালভার্টের পুরোনো রড খোয়া ব্যাবহার করে কোনমতে আগের কালভার্টের উপরে একটি স্লাব করে দিয়েছে। সবাই জেনেও চুপ ছিলাম কারন এটি নাকি তার নিজের টাকায় করা। কিন্তু এখন জানলাম নতুন নির্নামানের জন্য বরাদ্দ ছিল আড়াই লাখ টাকা। উনি মাত্র চার ব্যাগ সিমেন্ট ও ছয় ব্যাগ খোয়া দিয়ে কাজ শেষ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমরা এই প্রতারনা ও দূর্নীতির উপযুক্ত বিচার চাই।
ঘটনার বিষয়ে ইউপি সদস্য বেল্লাল খান মুঠোফোনে বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই আমি কাজ করেছি। ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবেই হয়েছে, আমি শুধু তত্বাবধানে ছিলাম। কাজের সিভিসি, বরাদ্দ সব চেয়ারম্যান জানে।”
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান একে সামসুদ্দিন আবু মিয়া বলেন, কাজটি বেল্লাল খানকে করতে বলা হয়েছিল, অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে আমি এটার বিল বন্ধ করে দিয়েছি। শীঘ্রই কালভার্টের কাজ নতুন করে শুরু হবে।