আজ শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘটের আওতায় দূরপাল্লার বাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জনসাধারণ। সকালে কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর বাস ডিপো থেকে বিভিন্ন রুটে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ভিড় করলেও যানবাহন না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন তারা।
বাসের জন্য অপেক্ষারত রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, বৃদ্ধ মাকে নিয়ে এসেছেন। যাবেন ফরিদপুরে। দীর্ঘসময় দাঁড়িয়েও যেতে না পারায় ক্ষোভ ঝাড়েন। জনসাধারণকে জিম্মি করে এসব ধর্মঘট করা অযৌক্তিক।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান,আলোচনায় বসে বাসের স্টাফদের মারধর করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আমরা বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। স্টাফদের মারধরের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমরা সড়কে ফিরবো না। বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
কুষ্টিয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি আক্তার হোসেন বলেন,‘ঝিনাইদহ মোটর শ্রমিক নেতারা বাসের নতুন ট্রিপ চাচ্ছেন। এটা নিয়েই মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আলোচনায় বসি। এ সময় সেখানেই তারা বাসের স্টাফদের মারধর করে। এর প্রতিবাদে বাস শ্রমিক-মালিক গ্রুপ উভয় মিলে বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মারধরের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাওয়া হবে