মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নড়াইলে মসজিদ ইমামের স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, ভাড়াটিয়া পলাতক লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭জনসহ ১৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল  নড়াইলে পানিতে ডুবে আপন ভাই বোনের মৃত্যু জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি রামগতি উপজেলার রামদয়াল বাজারে  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অর্ধ কোটি টাকা প্রাথমিক থেকে কলেজ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাত দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে যা বললেন ড. বেনজীর আহমেদ প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ”  প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। লোহাগড়ার লাহুড়িয়া পুলিশের অভিযানে ১২ কেজি গাঁজা ও ১টি প্রাইভেটকারসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেফতার। ঈদগাঁও ইউনিয়ন নির্বাচন: ৩ প্রার্থীর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কে এগিয়ে! 

বাহুবলে নির্মানের প্রায় ১ যুগ  পরও চালু হয়নি জেলার একমাত্র ট্রমা সেন্টার!

জাহাঙ্গীর মিয়া,বাহুবল প্রতিনিধিঃ
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৩
হবিগঞ্জের বাহুবলে নির্মাণের প্রায় ১০ বছর পরও চালু হয়নি জেলার একমাত্র ট্রমা সেন্টার। নির্মাণের পর দীর্ঘদিন ধরে ট্রমা সেন্টার চালু না হওয়ায় অনেক অবকাটামোই নষ্ট হয়ে গেছে। ভেঙে গেছে জানালার গ্লাস।  বাকি রয়েছে পানির পাম্প বসানোর কাজও।
জানা যায়, মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০১০ সালে ফিজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ট্রমা সেন্টার নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে ১০ শয্যার ট্রমা সেন্টারের নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৩ সালে। এতে ব্যয় হয় ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভবনটি গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে চিঠি দেয় গণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ না থাকায় সেটি গ্রহণ করতে রাজি হয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ নিয়ে দু’বিভাগের বেশ কয়েকবার  চিঠি চালাচালিতেই কেটে গেছে দশ বছর। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেই গণপূর্ত বিভাগ একটু সরব হয়। কিছুদিন পর তা আবার ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে।
গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের অগ্রগতি রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পল্লীবিদ্যুতের ডিমান্ড নোটের টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ২৬ মে ২০১৪ ও ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে দুইবার তাগিদপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি অতিরিক্ত ৬ লাখ টাকা দাবি করায় হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো ছাড়া আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। অন্যদিকে, ২০১৩ সালের ২৩ জুন গ্যাস সংযোগের জন্য ডিমান্ড নোট চেয়ে তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানিকে চিঠি দেন। এরপর এ সংক্রান্ত কোনো খোঁজখবর না রাখায় ইতিমধ্যে সরকার সারা দেশে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে  ট্রমা সেন্টারে গ্যাস সংযোগ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এভাবে চিঠি চালাচালিতেই কেটে যায় দশ বছর।
জেলার মাধবপুর থেকে নবীগঞ্জের শেষ সীমানা শেরপুর পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। আর এ সড়কে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় আহত বা হাত-পা ভেঙে প্রতিনিয়ত সিলেট অথবা ঢাকায় যেতে হয় রোগীদের। কিন্তু অনেকেই টাকা-পয়সার সমস্যার কারণে যেতে পারে না। ফলে পায় না উন্নত চিকিৎসা। এখন যদি বাহুবলে ট্রমা সেন্টারটি চালু হয় তা হলে অন্তত ভালো চিকিৎসা তো পাওয়া যাবে।
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নূরুল হক,,দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিন কে বলেন, ট্রমা সেন্টার চালুর বিষয়টি এখন আমাদের কাছে নেই, বিভাগীয় কমিশনার স্যার জানেন।
বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন,, দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিন কে  জানান, গত মিটিংয়ে ডিসি সাহেবকে বলেছি একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্বাস্হ্য বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান জানান, বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের তবুও আমি বিভাগীয় কমিশনার স্যারের সাথে কথা বলেছি, অচিরেই একজন ম্যাজেষ্টিট সহকারে কমিটি গঠন করে সরেজমিনে পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেনকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..