কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৭৫বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার। রবিবার সকাল ৯টায় চকরিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী মনজুর আলম বলেন, আমার ছেলে রেজাউল করিম আরব আমিরাত প্রবাসী। সে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে আমাদের কাছ থেকে আলাদা ভাবে বসবাস করে। গত এক বছর আগে তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রীও পিতার বাড়িতে চলে যায়। এরপর থেকে আমার সাথে তার কোন যোগাযোগ নেই।
সম্প্রতি গত ২৮ সেপ্টেম্বর চকরিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড এর বাসিন্দা জনৈক মো. ইউসুফ বাদী হয়ে আমার ছেলে প্রবাসী রেজাউল করিমসহ ৭ জনকে আসামী করে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে বিষয়টি আমি এক আত্মিয়ের মাধ্যমে জানতে পারি। এর পর থেকে আমি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমার ছেলে কখন বিদেশ থেকে আসল তাও আমি জানিনা। তার সাথে এক বছর ধরে কোন যোগাযোগ নেই। সে বেঁচে আছে কি মরে গেছে তাও জানি না। ছেলে কি করল তা না জানলেও আমি, তিন ছেলে ও এক নাতিসহ একটি মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।
আমি একজন সাবেক ইউপি সদস্য। এই মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে আমি সঠিকভাবে তদন্তপূর্বক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে থানায় দেয়া এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী মো. ইউসুফ এর ছেলে মো. ফরিদ আরব আমিরাত প্রবাসী। সে রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তি মারফত কিছু স্বর্ণ ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী পাঠায়। ওই সব জিনিষপত্র আত্মসাতের অভিযোগ তুলে তার তিন ভাই ও ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ পিতাসহ মোট ৭জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে থানায় দেয়া আরো একটি অভিযোগে বাদী দাবী করেন, বিদেশ থেকে পাঠানো মালামাল বুঝে নেয়ার পর বিবাদীরা হামলা চালিয়ে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে এসব মালামাল কেড়ে নিয়ে যায়। বাদীর দুই ধরনের বক্তব্যই ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মুলত হয়রানী করার উদ্দেশ্যে আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী মনজুর আলম জানান
অপরদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকরিয়া থানার পাুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেন, মালামাল চুরির ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় কোন নিরাপরাধ ব্যক্তি আসামী হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।