নড়াইলে এক গৃহবধুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও একপর্যায়ে নির্যাতিতা অন্তস্বত্তা হয়ে পড়লে তাকে গর্ভপাতে বাধ্য করায় এক লম্পটকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ছাড়াও আরো ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে নড়াইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক সানা মো. মাহরুফ হোসাইন ভিন্ন ভিন্ন ধারায় এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদির নাম বিল্লাল হোসেন। লোহাগড়া উপজেলার চাঁচই গ্রামের মৃত নাজির শেখের ছেলে আসামী বিল্লাল, তাদের এক প্রতিবেশি গৃহবধুর স্বামী চাকুরির সুবাদে ঢাকায় থাকার সুযোগে গত ২০২০ সালের ৯ আগষ্ট রাতে ঐ গৃহবধুর ঘরে ঢুকে নানা প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
এরপর থেকে প্রাণ নাশের হুমকিসহ ঐ গৃহবধুকে নানা ভাবে জিম্মি করে একইভাবে দিনের পর দিন নির্যাতিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের এক পর্যায়ে নির্যাতিতা অন্তস্বত্বা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাকে গর্ভপাতে বাধ্য করলে নির্যাতিতা একই সালের ২৬ নভেম্বর লোহাগড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিল্লালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্ত করে বাদির অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২০২১ সালের ৩১মার্চ বিল্লাল ছাড়াও তার ভাই জাহিদ ও ভাবী ফিরোজার বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
মামলার বিচারিক প্রকৃয়া চলাকালে এ মামলায় মোট ৭ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে ধর্ষক বিল্লালের বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণ হওয়ায় রায়ের ধার্যদিন ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার দন্ডবিধির একাধিক ধারায় আদালত তাকে নানা মেয়াদে উল্লীখীত জেল-জরিমানায় দন্ডিত করেন।
এ দিকে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় অন্য দুই আসামীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। এ রায়ে মামলার বাদি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।