মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
আনন্দঘন জমকালো আয়োজনে ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ এর ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন গাজী জসীম উদ্দিন। সিংড়ায় ফেসবুকে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে এক যুবক গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের সম্মানে রায়পুরে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রাঙ্গাবালীতে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল রাজধানীর সাত কলেজের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা: ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে কোপানো সেই যুবদল নেতা বহিস্কার শহীদ সাগর ও শহীদ রাব্বির আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর: নামকরণের প্রত্যাশায় শিক্ষার্থীরা। জামায়াতে ইসলামীর “কর্মী শিক্ষা শিবির” অনুষ্ঠিত।

কুমিল্লার কৃতি সন্তান ও বাংলাদেশের কৃতিমান গীতিকবি , উজ্জ্বল নক্ষত্রের না ফেরার দেশে

মোঃওমর ফারুক কুমিল্লা
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি গীতিকবি, পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার আর নেই। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পুত্রবধূ শাহানা মির্জা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে রাজধানীর নিজ বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুর খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে অনেক তারকা শিল্পীরা ছুটে আসেন। হাসপাতালে দেখা যায় অনন্ত জলিল, বর্ষা প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেকেই। এছাড়াও ছুটে যান ঢাকার উত্তরের মেয়র আতিক রহমান তাহার ভক্তবৃন্ধ গাজী মাজহারুল আনোয়ারের এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।

এই গায়ক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের বেশকিছু গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

এদিকে, মেয়ে কণ্ঠশিল্পী দিঠি ও চাচা বিদেশ থেকে আসার পর পর গাজী মাজহারুল আনোয়ারের দাফনকার্য সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন বাবার ছেলে উপল। উপল বলছেন, ‘এখন আমরা আমার বোন ও চাচার জন্য অপেক্ষা করছি। ’

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। বাড়িধারা পার্ক রোডের বাসায় শুরুতে তাকে নেওয়ার কথা থাকলে তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের জন্ম ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩,কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলায় তালেস্বর মিয়া বাড়িতে। তিনি একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, রচয়িতা, গীতিকার ও সুরকার। স্বাধীনতা ও দেশপ্রেম নিয়ে তিনি অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান লিখেছেন। তিনি ২০০২ সালে বাংলাদেশের একুশে পদক এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। ২০ হাজারের বেশি গান রচনা করেছেন তিনি। বিবিসি বাংলা তৈরীকৃত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় রয়েছে তার লেখা তিনটি গান।

এ ছাড়া তার লেখা কালজয়ী গানগুলো হলো ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয় প্রভৃতি।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..