লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ থানার ক্লুলেস বিকাশ এজেন্ট হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও হত্যার সঙ্গে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারী আসামি শান্ত মিয়াকে দেড় মাস পর গাজীপুর জেলা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরো পাঁচজনকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ ।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।গ্রেফতার শান্ত মিয়া নেত্রকোনার পূর্বদলা উপজেলার জৈষ্ঠবর এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে।গ্রেফতার অপর পাঁচজন হলেন কালীগঞ্জ উপজেলার বত্রিশ হাজারী এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে আশরাফুল আলম ওরফে আফতাবুল, একই এলাকার শামসুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম মুন্সি, সমের আলীর ছেলে ওমর ফারুক, মদনপুর চলবলার এলাকার সরাফত আলীর ছেলে রসুল মিয়া ও বান্দের কুড়া এলাকার মাসুম আলীর ছেলে মানিক মিয়া।পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২১ এপ্রিল রাত ১টার দিকে উপজেলার চাপারহাট বাজারের বিকাশ এজেন্ট আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আইয়ুব বাজার থেকে দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে চন্দ্রপুর ইউপির বত্রিশ হাজারী এলাকায় রাম দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আইয়ুবের বড়ভাই কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল তদন্তভার গ্রহণ করার পর পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও গোপনে তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তাক্ত একটি রাম দা ও আসামির ফেলে যাওয়া এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করেন, যেহেতু মামলাটি একটি ক্লুলেস হত্যা মামলা তাই অত্যন্ত নিষ্ঠা ও কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করে তার দিকনির্দেশনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলফামুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় মামলা দায়ের করার ২০ দিনের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম ও অভিযান পরিচালনা করে মামলার মূল আসামি আশরাফুল আলম ওরফে আফতাবুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে আফতাবুলের স্বীকারোক্তিতে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মো. শান্ত মিয়াকে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার সালনা বাজারে সোমবার
আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে অভিযান চালিয়ে মো. শান্ত মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মারুফা জামাল, লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহা আলম, কালীগঞ্জ থানার ওসি এটিএম গোলাম রসুল ও জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা