বোরহান উপজেলা সদরের আড়পাড়ায় সিলগালা করে দেয়া অবৈধ ক্লিনিকে নার্সের অপারেশনে নির্জনা খাতুন (১৩) নামে এক কিশোরীর মৃত্যুর শোকে মানববন্ধন এলাকা বাসি। নিহত নির্জনা শালিখার পুকুরিয়া গ্রামের নাজমুল মোল্যার কন্যা। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। গতকাল রবিবার সকালে ঘটা এ ঘটনায় অভিযুক্ত ক্লিনিক মালিকের স্ত্রী ও মাগুরা সদর হাসপাতালের স্টাফ নার্স করিমুন্নেছাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। করিমুন্নেছার স্বামী বাচ্চু মিয়া পালিয়ে গেছে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে চালিয়ে আসা আল হেরা প্রাইভেট হাসপাতাল নামে ক্লিনিকটি গত ২৯ মে ২২ ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান। কিন্তু এ নির্দেশ অমান্য করেন করিমুন্নেছা তার স্বামী বাচ্চু মিয়ার সহায়তায় গোপনে ওই ক্লিনিকে রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে গতকাল সকালে ওই কিশোরীকে অবৈধভাবে নিজেই অপারেশন করলে ভুল চিকিৎসায় মেয়েটি মারা যায়। নিহতের চাচা ডাবলু মোল্যা অভিযোগ করেন, ৪ জুন শনিবার পেটে ব্যাথা নিয়ে নির্জনাকে সেখানে ভর্তি হয়। ৫জুন রবিবার সকাল ৭টার দিকে তার এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করেন নার্স করিমুন্নেছা। এর কিছুক্ষণ পরই মেয়েটি প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পরে। পরে তাকে দ্রুত যশোরে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল ১০টার দিকে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি নার্স করিমুন্নেছার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। ঘটনা জানতে পেরে দুপুরে মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান, শালিখা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ ডা. আবজাল হোসেন ও শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে নার্স করিমুন্নেছাকে গ্রেফতার করে। তবে গ্রেফতারকৃত নার্স নিজেকে নির্দোষ দাবী করে যশোর থেকে আসা একজন চিকিৎসক মেয়েটির অপারেশন করেন এবং তিনি তাকে সহায়তা করেন বলে দাবী করেছেন। কিন্তু তিনি যশোরের ওই চিকিৎসকের নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারেননি। মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. শহিদুল্লাহ দেওয়ান জানান- করিমুন্নেছা নিজে যদি অপারেশন করে থাকেন তাও অপরাধ আবার একজন সরকারি কর্মচারি হয়ে যদি কোন ডাক্তারকে প্রাইভেট ক্লিনিকে সহায়তা করেন সেটিও অপরাধ। আমরা তার বক্তব্য খতিয়ে দেখছি। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।