ওহে সংগ্রামী কবি–
ভোরের রবি কাজী নজরুল ।
দেখিনি তোমায়,
দেখিনি তোমার দুঃখে ভরা জ্বালাময়ী দিন।
তবে দেখেছে বিশ্ব,
দেখেছে তোমার কৈশোরের নিদারুণ দৃশ্য!
হায়রে অভাব!
অভাব নামক সর্প ছোবল
ভাঙতে পারেনি তোমার দৃঢ় মনোবল,
হোক কৈশোরকাল
তুমি ছাড়োনি হাল,
অভাবও তোমার গতি রোধ করতে পারেনি।
ওহে দুরন্ত কবি–
নবচেতনার ফুল,
তুমি ছিলে দুর্বার, সাহসী
জীবনযুদ্ধে হার না মানা লড়াকু সৈনিক।
ওহে জ্ঞান পিপাসু–
ভাবলে কাঁদে মন!
তোমার দুর্ভাগা জীবনে হয়নি সঠিক প্রাধ্যয়ন।
তবুও ছিলে মেধাবী
ছিলে সাহিত্যমনা,
অল্প বয়সেই তোমার প্রতিভার উন্মেষ ঘটে
গ্রাস করতে পারেনি আর্থিক সংকটে।
ওহে প্রেমের কবি–
মানবতার কবি
তোমার ছড়া, কবিতা, গান
মা ও মাটির কথা বলে,
কথা বলে, শোষিত বঞ্চিত মানুষের ।
ওহে বিদ্রোহী কবি–
তোমার ছিলো’না ভয়,
তুমি ছিলে ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোন, ঝ্বঞ্ঝা, প্রলয়
তোমার বিপ্লবী অগ্নিময় রচনা নাড়া দেয় ব্রিটিশ প্রাণে।
জালেম সরকার তোমাকে মেনে নিতে পারেনি
তাইতো ভয়ে প্রেরণ করে কারাগারে,
তবুও থেমে থাকেনি তোমার কলমের গতি।
তুমি পেয়ে বন্দিশালা
গড়েছো বিদ্রোহী কবিতা, গানের পাঠশালা ।
কবির ভাষায়—
তুমি করোনি নতশির
তোমারই উন্নত মম শির,
বিদ্রোহী কবিতায় গানে
প্রমাণ করেছো তুমি রণবীর।
ওহে সাম্যের কবি–
তুমি মেনে নিতে পারোনি ভেদাভেদ,
মেনে নিতে পারোনি অন্যায়-অবিচার, শ্রেণিবৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা
তুমি ছিলে সকল জাতির, সকল ধর্মের।
ওহে প্রাণের কবি–
প্রভুর ডাকে তুমি দিয়েছো সাড়া
তোমাকে হারিয়ে বাঙালি দিশেহারা !
তুমি ছিলে কবিতায়, গানে বাঙালির প্রাণে
আজোও তুমি আছো, থাকবেও চিরকাল
তোমার মৃত্যু নেই,
কীর্তিতে জাগ্রত তুমি, তুমি চির অমর।
লেখক,সৈয়দুল ইসলাম হাসারচর, শান্তিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ।