সাতক্ষীরা:
ভোমরা স্থলবন্দর কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশন (সিএন্ডএফ)এর নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ তুলেছে এসোসিয়েশনটির এডহক কমিটির আহবায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন।
রবিবার (১০ এপ্রিল) বিকালে সংগঠনটির এডহক কমিটির আহবায়ক এজাজ আহম্মেদ স্বপন স্বাক্ষরিত পত্রে খুলনা শ্রম দপ্তর পরিচালক বরাবর অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশন (সিএন্ডএফ) যার রেজিঃনং-খুলনা-২০৪৬ এডহক কমিটি কর্তৃক পরিচালিত তহবিল পরিচালনার বিষয়ে একতরফা সিদ্ধান্তে কোন টাকা উত্তোলন বা খরচ করা সম্ভব নয়। ব্যাংক হিসাবটি যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়। তাছাড়া কমিটির সিদ্ধান্তের বহির্ভূত ব্যাংক হতে কোন টাকাই তোলা সম্ভব নয়। সকল হিসাব কমিটির সভায় অনুমোদন করে রেজুলেশনের মাধ্যমে রক্ষিত থাকে। আদালাতের আদেশ ২৭ মার্চ দপ্তরের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ২ এপ্রিলে সংগঠনটির একটি জরুরী সভা আহবান করা হয়। সভায় এডহক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ব্যতীত অন্য কোন সদস্যই উপস্থিত ছিলো না।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশন (সিএন্ডএফ) অফিস সহকারী আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিকট হতে গত ৩০ মার্চ রেজুলেশন খাতাটি এডহক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। ফলে রেজুলেশন বইয়ে নাম লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয়নি। আদালতের আদেশে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন প্রদানের সভার নোটিশ প্রদান ও আদেশের ২৭ মার্চের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সাধারণ সভার নোটিশ প্রদান করা হয়।
তিনি আরও জানান কমিটির অন্য সদস্যকে অবহিত করা হয় এবং কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা করে গত ৫ এপ্রিল এডহক কমিটি একটি সভা আহবান করে। কিন্তু সভায় কমিটির কোন সদস্যই উপস্থিত হয়নি। এসোসিয়েশনের একটি স্বাধীন অডিট কমিটি বিদ্যমান আছে। তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি কমিটির মাধ্যমে অডিট করার অনুরোধ জানাচ্ছি। আদালতের আদেশের ১৪ দিন পরে আহবায়ক পরিবর্তনের আবেদন আদালতের আদেশের পরিপন্থী। তার বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ হতে অব্যহতি প্রদানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। এবং আদালতের নির্ধারিত ৬০ দিনের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।