সাতক্ষীরা
চরম অবহেলা আর অব্যবস্থাপনায় খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে সাতক্ষীরার একমাত্র সরকারি বক্ষব্যাধি ক্লিনিক। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ দীর্ঘদিন শুন্য। প্যাথলজিস্ট ও টেকনিশিয়ান পদে লোক না থাকায় রোগীরা পাননা পরীক্ষা-নিরীক্ষার সেবা।
সাতক্ষীরার একমাত্র বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে গড়ে প্রতিনিয়ত ৩০/৪০ জন রোগী আসেন। তবে সপ্তাহে ৫দিন চিকিৎসা না পেয়ে হতাশ হন তারা। ক্লিনিকে ব্যবস্থা না থাকায় ৩/৪ কি.মি. দূরে যেয়ে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে আনতে সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েন রোগীরা। এছাড়া কর্মচারিদের সীমাহীন দূর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ তারা।রোগীদের দাবি সার্বক্ষণিক চিকিৎসক,পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত ওষুদের যোগান।আধুনিক চিকিৎসার ওষুধ ক্লিনিক থেকে দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা জানান,স্টাফদের দূর্ব্যবহারের ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
ডা. তানভীর আহমেদ,ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,সাতক্ষীরা বক্ষব্যাধি ক্লিনিক।
(স্টাফদের দূর্ব্যবহারের বিষয়ে আমি মিটিংয়ে বসব। কার্যকর ব্যবস্থা নেব। রোগীদেরকে আমি বলি,কোন সমস্যা হলে সরাসরি আমার কাছে আসতে। অনেক সমস্যা আমার কানে আসেনা। এটা সত্য,প্যাথলজিক্যাল ব্যবস্থা এখানে নেই। আর বেজলাইনের ওষুদ দেওয়া হয়। আধুনিক চিকিৎসার ওষুধ রোগীদের দেওয়া সম্ভব হয়না। )টিবি ক্লিনিকে জনবল সংকটসহ অন্যান্য সংকট লিখিতভাবে উর্দ্ধতনদের জানানো হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।
ডা. হুসেইন শাফায়েত,সিভিল সার্জন,সাতক্ষীরা।
(টিবি ক্লিনিকে ১৭ জনের বিপরীতে ১০ জনের পদায়ন রয়েছে। ৭জন খালি রয়েছে। জুনিয়র কনসালট্যান্ট ও মেডিক্যাল অফিসারের পদ রয়েছে। তবে সদর হাসপাতাল থেকে একজনকে ডিপুট করা আছে,যিনি দু’দিন সেখানে যান। জনবল সংকটসহ অন্যান্য সংকটের কথা উর্দ্ধতনদের জানানো হয়েছে। )
সাতক্ষীরা শহর থেকে তিন কি.মি. দূরে সরকারি বক্ষব্যাধি ক্লিনিকটি অবস্থিত। জুনিয়র কনস্যালট্যান্টসহ ৭টি গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি থাকায় খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। একজন চিকিৎসক সপ্তাহে মাত্র দুদিন চিকিৎসা সেবা দেন ক্লিনিকটিতে। অভিযোগ রয়েছে রোগীদের সাথে নার্স ও স্টাফদের সীমাহীন দূর্ব্যবহারের ।