শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সিংড়া বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে ১৩টি দোকান ভূস্মীভূত  লোহাগড়ায় খুনের ঘটনার ৫ মাস পরেও থামছে না বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট, ভয় আর আতঙ্কে গ্রামছাড়া মানুষ  পাইকগাছায় লাইসেন্স বিহীন ঔষধ বিক্রয়ের দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা  মাটির নিচে পালিয়ে থাকলেও খুঁজে বের করে বিচারের জায়গায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ্ -মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান মুরাদনগর উপজেলায় ২’শত ফুট লম্বা বাশেঁ সাকোঁ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে ২০ গ্রামের লক্ষাধীক মানুষ। নেত্রকোণায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় সিংড়া থানা পুলিশ কর্তৃক চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার, গ্রেফতার- ২ বাউফলে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ  ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচনে ভোট যুদ্ধে ৪ হেভিওয়েট প্রার্থী।  লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তারিকুল ইসলাম উজ্জলের গণসংযোগ 

আজ কবি,সাহিত্যিক,কাঙাল শামছুর রহমান এর ৮৫ তম শুভ জন্মদিন।

শিল্পী খানম
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আজ ১৮-সেপ্টেম্বর-২১ প্রয়ত কবি,সাহিত্যিক ও কলম সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা কাঙাল শামছুর রহমান এর ৮৫ তম শুভজন্মদিন।

১৮-সেপ্টেম্বর-১৯৩৬ ইং রোজ শুক্রবার ফজরের আজানের পূর্বে নিজ পিতৃালয় গ্রামঃমটবাড়ী,পোস্টঃনলদী,থানাঃলোহাগড়া,জেলাঃনড়াইল, বিভাগঃখুলনা, বাংলাদেশ জন্ম গ্রহণ । তার পিতা মৃত দেলালউদ্দীন মোল্যা,মাতা মৃত সাহিদুননেছা। কবি কাঙ্গাল শামছুর রহমান এর জন্মের পরই ফজরের আজান পড়ে।তার পিতৃপরিবার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি সম্মানিত পরিবার ছিলেন।

ছোটবেলা হতে তিনি সমবয়সী ও সমকালীন অন্যান্য ছেলেমেয়েদের তুলনায় ভিন্ন ও উন্নত চিন্তার অধিকারী ছিলেন।এবং কিশোর বয়স হতে তার দেশ, জাতি,ভাষা প্রেম ও সাহিত্যবোধ জন্মে। এবং যুবক বয়স থেকে তিনি সাহিত্য সাধনায় ব্রত হন।

তিনি ইং ১৯৬৪ সালের দিকে সংঘটিত গাছবাড়িয়ার ঘূর্ণিঝড় এর উপর “ঘূর্ণি বায়ুর কবিতা ” নামে ৮ পৃষ্ঠার একটি গীতি কবিতা লিখে নিজ অঞ্চলে খ্যাতিমান হন। উক্ত কবিতাটি তিনি ২/৫/১৯৬৪ইং তারিখ অরিয়েন্ট প্রেস, যশোর হতে মুদ্রণ করেন।

তিনি ১৯৭১ ইং সনে সংঘটিত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রেরণামুলক,উৎসাহমুলক কবিতা, গান রচনা করেন।এবং তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বশরীরে ও স্বশস্ত্রভাবে অংশ গ্রহণের জন্য ভারতে গমন করেন। কিন্তু তার সাহিত্য প্রতিভা জ্ঞাত হবার কারণে শিবির কর্তৃপক্ষ তাকে স্বশস্ত্র যুদ্ধে পাঠাতে অসম্মত হন এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র তথা শিল্পী-সাহিত্যিকরা ১৯৭১ইং সালে যেখানে অবস্থান করছিলেন সেখানে পাঠাতে চান।কিন্তু কবি কাঙাল শামছুর রহমান এ প্রস্তাবে অসম্মত হলে শিবির কর্তৃপক্ষ কাঙ্গাল শামছুর রহমানকে রিজার্ভ শিবিরে রাখেন। এর ফলে তিনি পলতা যুব শিবিরে বেশ কিছু দিন ছিলেন। সেখানে তিনি “মুক্তিকামী বাঙালি ” নামে ১৬ পৃষ্ঠার একটি গীতি কবিতা ১৩/৯/১৯৭১ইং প্রকাশ করেন শ্রী দুর্গা প্রেস,বনগাঁ,ভারত থেকে।কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থ উক্ত প্রেসকে দিতে না পারায় তারা কপি গুলো আটকে দেন।এরপর তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং নিজের অবস্থা ও অবস্থান হতে দেশে-জাতি-ভাষা ও তার মহান স্বাধীনতার পক্ষে লেখালেখি করেন। যার কিছু গ্রন্থ হলঃআমরা মুক্তিযোদ্ধা(কাব্য এবং প্রকাশিত),একাত্তরের বীর সেনানী (উপন্যাস এবং প্রকাশিত), জ্বলন্ত হুতাশন(কাব্য,অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি আকারে আছে),উত্তাল তরঙ্গ(গীতি কাব্য, অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি আকারে আছে),মুক্তির সংগ্রামে মুজিব (অপ্রকাশিত, পান্ডুলিপি আকারে আছে))।এবং দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি “মুক্তিকামী বাঙ্গালী” গীতিকবিতাটি আবার প্রকাশ করেন ইউনাইটেড প্রেস,খুলনা হতে ১৯৭২ সালে।

তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সাহিত্য সাধনা করে গেছেন।মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক লেখালেখি ছাড়াও তার সাধনা সৃষ্ট অনেক লেখালেখি রয়েছে অপ্রকাশিত ও পান্ডুলিপি আকারে।।তার সাধনার প্রতি ছিল তার অগাধ ভালবাসা, বিশ্বাস ও আস্থা। তার সাধনা সৃষ্ট সাহিত্য সম্পদকে ঘিরে ছিল তার সীমাহীন স্বপ্ন।

তিনি স্বপ্ন দেখতেন তার সাধনা সৃষ্ট সাহিত্য একদিন দেশব্যাপী প্রচার হবে।মানুষের জ্ঞান পিপাসা নিবারণের ক্ষুরাক হবে।মানুষ তা থেকে কল্যাণময় অনুভুতি, পথ,মত পাবে,কিছু অজানাকে জানবে,অদেখাকে দেখবে, অবোঝাকে বুঝবে,নিজে ভাল হবে,অন্যকে ভাল করার স্বপ্ন দেখবে,ভাল ভাল কাজ করার স্বপ্ন দেখবে নিজের,দেশ, জাতির তথা বিশ্বের কল্যাণে। তিনি আরও স্বপ্ন দেখতেন তার লেখা কোন এক সময় সাধনা সৃষ্ট বিষয় হতে সম্পদে পরিণত হবে, প্রভুত বিক্রি হবে,তা হতে মুনাফা আসবে,সেই মুনাফা দিয়ে তিনি “কবি কাঙ্গাল শামছুর রহমান গণগ্রন্থগার,””কবি কাঙ্গাল শামছুর রহমান মাদ্রাসা” ও” কবি কাঙ্গাল শামছুর রহমান ট্রাষ্ট” (জনকল্যাণমুলক) গঠন করবেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাস্তবে তার কিছুই হয়নি,তার লেখা সম্পদে পরিণত হয়নি,তা হতে কোন মুনাফাও আসে নি,আর তা দিয়ে কিছুই করে বা দেখে যেতেও পারেন নি।বরং তার সাধনা তার জন্য অভিশাপ,বোঝা,হয়েছে।তার সৃষ্ট বিষয়ের কারণে তিনি আমরণ ভৎসনা,লঞ্ছনা, বঞ্চনা,যন্ত্রণা ও কষ্ট পেয়ে গেছেন।

যা হোক কবি কাঙ্গাল শামছুর রহমান এর জন্মদিন উপলক্ষে তার প্রয়াত আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে “কবি কাঙ্গাল শামছুর রহমান ট্রাষ্ট” তার সামর্থ্য অনুযায়ী দারিদ্র, অসহায় ও সাহায্য প্রার্থীদের মধ্যে দান সদকা করেছেন।
এবং উক্ত ট্রাষ্ট সমগ্র দেশবাসী তথা বিশ্ববাসীর কাছে তার আত্মার শান্তি, মাগফেরাত ও তার অপূর্ণ- অতৃপ্ত সাধ সাধনার পূর্ণতা প্রাপ্তির জন্য দোয়া কামনা করছেন।উল্লেখ্য “কবি কাঙ্গাল শামছুর রহমান ট্রাষ্ট” কবি কাঙ্গাল শামছুর রহমান এর দেখা জনকল্যাণমুলক স্বপ্ন বাস্তবায়নের এর নিমিত্তে তার উত্তরসূরীর দ্বারা পারিবারিক ভাবে গঠিত একটি পারিবারিক ও জনকল্যাণমুলক ট্রাষ্ট।এর সম্পদের উৎস কবি কাঙ্গাল শামছুর রহমান এর সাধনাসৃষ্ট সাহিত্য বিক্রয় হতে আগত টুকটাক আয় ও তাকে সমর্থনদানকারী তার ঔরসজাত দুই কন্যা শিল্পী খানম ও মিলিয়া খানমের টুকটাক আয়। তবে এখনও পর্যন্ত তার সাহিত্য হতে কোন আয় আসেনি,এখনও পর্যন্ত এই ট্রাষ্ট তার কন্যাদের আয় হতেই চলছে।এই ট্রাস্ট এর এখনও পর্যন্ত কোন মুলধন নাই,দান সদকার পরিমাণও সীমিত।এই ট্রাষ্ট সরকারের ট্রাষ্ট নীতির প্রতিশ্রদ্ধাশীল।এই ট্রাষ্ট তার সামর্থ্য ও উপযুক্ত সময় হলে অবশ্যই সরকারের নীতির আওতায় আসবেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..