কক্সবাজারের টেকনাফে ২০ হাজার ইয়াবাসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক পিয়নকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আটক ব্যক্তির নাম আবদুর রহিম। তিনি রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের চাকমার কাটা গ্রামের বাসিন্দা এবং টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিন কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটকের পর রহিম পুলিশকে বলেন, চোখের সামনে রিকশাওয়ালা, গাড়িচালক, দিনমজুরসহ অনেকে ইয়াবার কারবারে জড়িয়ে রাতারাতি বড়লোক বনে গেছেন। তিনিও হঠাৎ বড়লোক হওয়ার জন্য এই পথ বেছে নেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে থানা–পুলিশের একটি দল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে আবদুর রহিমকে আটক করে। এ সময় তাকে তল্লাশি করে ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রহিম ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন। হঠাৎ বড়লোক হওয়ার জন্য ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে পড়েন বলে পুলিশকে জানান তিনি।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর আবদুর রহিম টেকনাফসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি করেছেন। মাদকসহ গ্রেপ্তারের বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় রহিমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে কক্সবাজারের বিজ্ঞ বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হবে।