নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রিন্সিপাল ও শিক্ষকদের নামে অনিয়মের অভিযোগ করেছে ছাত্রীরা।
শুক্রবার( ১৩ ই আগস্ট) সকালে লক্ষীপাশা মহিলা ডিগ্রী কলেজের এইচ এসসি পরীক্ষার্থী২০২১ এর ছাত্রীরা আনুমানিক (২৫-৩০ )জন লোহাগড়া উপজেলা গেট চত্বরে সমবেত হয়ে অধ্যক্ষ মোঃ ফারুক আহমেদের বিভিন্ন অনিয়মের বক্তব্য প্রদান ও একটি অভিযোগের আবেদন পত্রের অনুলিপি সাংবাদিকদের নিকট প্রদান করেন।
এ সময়ে অত্র মহিলা কলেজের ছাত্রী সাদিয়া সহ ২/৩ জন ছাত্রী বক্তব্যে বলেন অত্র কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ ফারুক আহমেদ মাসিক বেতন সহ ফরম ফিলাপ করার জন্য সর্বমোট ৪৮০০ টাকা এবং এসাইনমেন্ট এর জন্য ৩ বার মোট ৭০০ টাকা গ্রহণ করেন। যা ভর্তি কালীন সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাসিক কোন বেতন প্রদান করা লাগবে না। আরো বলেন যদি টাকা না দিতে পার তাহলে লেখা পড়া বাদ দেও। কিন্তু এখানে পরিতাপের বিষয় হলো যে আমাদের মা বাবা অধিকাংশই দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে তাছাড়াও অনেকের বাবা মা নেই কেউ কেউ মামা বা চাচার কাছে থেকে লেখা পড়া করছি। তাহলে আমরা কিভাবে এই অতিরিক্ত টাকা প্রদান করব এবং আমাদের লিখিত এসাইনমেন্ট কলেজে জমা দিতে গেলে আমাদের জমাকৃত এসাইনমেন্ট কলেজের শিক্ষক বুলবুল আহমেদ সেটা ছিড়ে ফেলেন এবং এটা আমরা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রকাশের জন্য যাওয়ার সময় আমাদের কলেজের সমাজ
বিজ্ঞানের শরিফুল স্যার বলেন, সাংবাদিকরা নাকি আমাদের প্রেমিক হন দুই টাকার সাংবাদিকরা আমাদের বিষয় কি আর করবেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের লক্ষীপাশা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মোঃ ফারুক আহমেদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সর্বপ্রথমেই বলেন আপনারা আমার বিরুদ্ধে কেন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। এবং সাংবাদিকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। পরিশেষে তিনি বলেন প্রয়োজনে আমার কথাগুলো রেকর্ড করে নেন এবং ইচ্ছেমত তাই লেখেন লেখেন, আমার পরিচালনা পর্ষদ আছে এই বলে ক্ষুব্দ হয়ে ফোনটি কেটে দেন।
এই ঘটনায় লোহাগড়া মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ ভূঁইয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন সরকারী বিধি মোতাবেক এসাইনমেন্টের কোন টাকা প্রয়োজন হয়না এবং ফরম ফিলাপের জন্য বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত টাকার বেশি নিতে পারবে না, যদি কোনো প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত টাকার বেশি গ্রহণ করে তাহলে তা আইনের পরিপন্থী। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পায়নি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) রোসলিনা পারভীনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান একটি মেয়ে ফোন করেছিল অভিযোগের ব্যাপারে আমি অফিসে না থাকার কারণে অভিযোগ গ্রহণ করতে পারিনি তাকে রবিবারে অভিযোগপত্র জমা দিতে বলেছি। অভিযোগ পত্র পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।