বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
ডিসি,পদে নিয়োগ বঞ্চিত অভিযোগ তুলে সচিবালয়ে হট্টগোল বাগেরহাটের রামপালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শান্তি-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নেত্রকোণায় ভারতীয় ২৭৪বস্তা চিনি জব্দ  উপটুয়াখালী মাদরাসা সুপারের পদত্যাগের দাবিতে ক্লাস বর্জনসহ ও মানববন্ধন   যুক্তরাষ্ট্রের টি-টেন লিগে, মাশরাফীসহ ৮ বাংলাদেশি ক্রিকেটার শেখ হাসিনার বিচার, সরাসরি সম্প্রচার করা হবে. রাষ্ট্রের সংস্কার ও পুনর্গঠনের লক্ষ্য নিয়ে গঠিত হলো জাতীয় নাগরিক কমিটি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করার সিদ্ধান্ত, বগুড়ায় হিরো আলমকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর ও মারধর করার অভিযোগ  পুলিশ কোন দলের না, পুলিশ রাষ্ট্রের পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ

নিজের ভুল বা দোষগুলো চিহ্নিত করে সংশোধন করা

সংগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১

একটি মেয়ে বিবাহিত জীবনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো এবং তার স্বামীকে হত্যা করতে চাচ্ছিলো। একদিন সকালে সে তার মায়ের কাছে দৌড়ে গিয়ে বললো- “আমি আমার স্বামীকে নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, আমি আর তার বাজে কথা সমর্থন করতে পারছি না।

আমি তাকে হত্যা করতে চাই, তবে আমি ভয়‌ও পাচ্ছি যে দেশের আইন আমাকে দায়ী করবে। তুমি কি দয়া করে এ বিষয়ে সাহায্য করতে পারো, মা?” মা উত্তর দিলেন- “হ্যাঁ, আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি। তবে তার আগে কয়েকটি কাজ আছে যা তোমাকে করতে হবে।

” মেয়ে জিজ্ঞাসা করলো- “কি কাজ মা? আমি তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে কোনো কাজ করতে প্রস্তুত আছি।”

মা বললেন- “ঠিক আছে, তাহলে শোনো:-

১. তোমাকে প্রথমেই তার সাথে শান্তি স্থাপন করতে হবে, যাতে সে মারা যাওয়ার পর কেউ তোমাকে সন্দেহ করতে না পারে।

২. তার কাছে তরুণ এবং আকর্ষণীয়া দেখাবার জন্য তোমাকে সুন্দর করে সেজে থাকতে হবে।

৩. ভালো করে যত্ন নিতে হবে এবং তার প্রতি সদয় ও কৃতজ্ঞ হতে হবে।

৪. তোমাকে হিংসা কমিয়ে ধৈর্য ধরতে হবে; বেশি মনোযোগী হতে হবে, আরও শ্রদ্ধাশীল এবং বাধ্য হতে হবে।

৫. প্রয়োজনে নিজের টাকা তার জন্য ব্যয় করবে এবং রাগ করা যাবে না, এমনকি সে যদি তোমাকে কিছু দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তবুও।

৬. তার সাথে উচ্চস্বরে কথা বলা যাবে না, সবসময় শান্তি এবং ভালবাসা বজায় রাখতে হবে। যাতে সে মারা গেলেও তোমাকে কেউ সন্দেহ করতে না পারে। ৭. তার কোন চাওয়া পাওয়া অপূর্ণ রাখবে না। সে যেভাবে পছন্দ করে সেভাবে চলবে এবং তার পছন্দের খাবার বানিয়ে দিবে।”

এরপর মা জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি এগুলো সব করতে পারবে?” মেয়ে জবাব দিল, “হ্যা, আমি পারবো।” মা বললেন, “ঠিক আছে, তাহলে এই পাউডারটা নিয়ে যাও এবং প্রতিদিন তার খাবারের সাথে খানিকটা করে মিশিয়ে দিবে; এটাই ধীরে ধীরে তাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে।”

৩০ দিন পর মেয়েটি তার মায়ের কাছে ফিরে এসে অত্যন্ত দুঃখের সুরে মিনতি করে বললো “মা, এখন আর স্বামীকে হত্যার কোনও ইচ্ছা আমার নেই। আমি এখন তাকে ভালোবাসতে পেরেছি কারণ সে পুরোপুরি বদলে গেছে। সে এখন আমার কল্পনার চেয়েও খুব ভালো স্বামী।

এখন তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে আমি কী করতে পারি? আমাকে সাহায্য কর!” মা উত্তরে বললেন- “ভয়ের কিছু নেই, তুমি চিন্তা করো না। ঐদিন আমি যে পাউডার তোমাকে দিয়েছিলাম তা ছিলো হলুদের গুঁড়া। যা কখনই তার মৃত্যুর কারণ হবে না। সত্যি কথা বলতে কি- তুমি নিজেই ছিলে এমন একটি বিষ যা ধীরে ধীরে তোমার স্বামীকে উত্তেজিত এবং হতাশাগ্রস্থ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছিলো।”

শিক্ষা:- সর্বপ্রথম নিজের ভুল বা দোষগুলো চিহ্নিত করে সংশোধন করা।

লেখা ও ছবিঃ- সংগৃহীত

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..